কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: একেই বলে অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতা, ইংরেজিতে ইনভেস্টিগেটিং জার্নালিজম। সাংবাদিকের ভূমিকায় এক খুদে। ঘটনাস্থল ঝাড়খণ্ডের এক প্রত্যন্ত গ্রাম ভিখিয়া চক। সেই গ্রামের এক প্রাথমিক স্কুল। আগাছা আর জঙ্গলে ভরা সেই স্কুলের হাল তুলে ধরেছে এলাকারই এক কিশোর। সেই ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। প্রশ্ন উঠেছে, এর পরও কি টনক নড়বে প্রশাসনের?
যেমন করে বিভিন্ন বৈদ্যুতিন চ্যানেলের সাংবাদিকরা স্পট থেকে খবর করেন, ঠিক সেই ভঙ্গিতেই ওই খুদে একটি ভাঙা প্লাস্টিকের শিশিকে বুম তৈরি করে স্কুলের হাল দেখাচ্ছে। স্কুলের দরজা হাট করে খোলা। কোনও পড়ুয়ার দেখা নেই। ছেলেটি ঘুরে ঘুরে সব ক্লাসঘরের হাল দেখিয়ে চলেছে। কোনও ঘরে একটা দুটো চেয়ার পড়ে রয়েছে। বেঞ্চের দেখা নেই। সেই খুদে রিপোর্টার দু-একজন স্থানীয়ের প্রতিক্রিয়াও নিয়েছে। স্থানীয়রাও খুদে। তাদের একজনকে রিপোর্টার প্রশ্ন করল, কেন তোমরা স্কুলে আস না। বুম দেখে ছোট্ট এক শিশু তো থ। তার মুখে কোনও কথাই সরল না।
রিপোর্টার ধরল আর একজনকে। সে বলল, স্কুলে কোনও জলের ব্যবস্থা নেই। পানীয় জলের জন্য যেতে হয় অনেক দূরে। তাই স্কুলে আসা হয়ে ওঠে না। এরপর রিপোর্টার হাজির স্কুলের শৌচালয়ে। তার হাল আরও খারাপ। রিপোর্টার বলছে, এই শৌচালয় একেবারেই ব্যবহারের যোগ্য নয়। ঝোপঝাড় পেরিয়ে ক্ষুদে রিপোর্টারের পরের গন্তব্য একটি জলের পাইপের দিকে। কোনও এক সময় হয়ত সেখানে টিউবওয়েল ছিল। এখন শুধু মাথা উঁচিয়ে আছে একটি পাইপ।
রিপোর্টারের সংযোজন, এই হল স্কুলের হাল। তার প্রশ্ন, কেন পড়ুয়ারা আসবে এই স্কুলে। জবাব কি মিলবে প্রশাসনের কাছ থেকে? সেই ভরসাতেই দিন গুণছে ওই খুদে রিপোর্টার। এই খুদে রিপোর্টারের নাম সরফরাজ খান। বয়স ১০। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বড় হয়ে সাংবাদিক হতে চায় সরফরাজ।