জোহানেসবার্গ: আগামী বছরগুলিতে ভারত বিশ্বের অন্যতম পরিচালিকা শক্তি হয়ে দেখা দেবে। অর্থনৈতিক সংস্কার এবং প্রযুক্তির উন্নতিতে ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে দেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী জোহানেসবার্গে ব্রিকস বিজনেস ফোরামের সামনে এই ভাষাতেই ভারতকে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উল্লেখ্য, ব্রিকস সম্মেলনের পরেই দিল্লিতে বসতে চলেছে জি ২০ সম্মেলন। যে বৈঠকে যোগ দিতে আগামী ৭-১০ সেপ্টেম্বর ভারতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রনেতারা। সেখানেও মোদি ভারতের উন্নতির ঝান্ডা উঁচিয়ে ধরবেন এবং আমেরিকাও মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবে। সব মিলিয়ে ভোটের আগে এই গ্রহের শক্তিধর দেশগুলির সারিতে ভারতকে বসানোর একটা প্রক্রিয়া চালাচ্ছে মোদির দল। যাকে অস্ত্র করে আগামী ভোটগুলিতে জনমানসে জাতীয়তাবাদী সম্মোহনের জাদুকাঠি ঘোরাতে পারে গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন: চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা, চন্দ্রযান সফল হলে মোদির ‘বিক্রম’ই হবে বিজেপির ‘প্রচার-প্রজ্ঞান’
প্রসঙ্গত, এ বছরেই হতে চলেছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মিজোরাম ও তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচন। তারপরেই রয়েছে তৃতীয় এবং শেষবারের মতো মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অগ্নিপরীক্ষা। তার আগে মোদি পাঁচ দেশীয় (ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা) সম্মেলনের মঞ্চে বলেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত উন্নত দেশের সারিতে এসে দাঁড়াবে বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিকস বিজনেস ফোরামে মোদির দাবি, আগামী কয়েক বছরে ভারত ৫ লক্ষ কোটির অর্থনীতি পৌঁছবে। দুনিয়া যখন অর্থনীতি নিয়ে ধুঁকছে, তখন ভারত দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে চলেছে। ভারত কিছুদিনে মধ্যে পৃথিবীর পরিচালিকা শক্তি হয়ে উঠবে আত্মবিশ্বাসী মোদি। বাজারি অর্থনীতির বিকাশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিয়মকানুনের চাপ এবং লাল ফিতের বাঁধন আলগা করে দিয়েছি। যাতে করে বিনিয়োগের দরজা আগের থেকে অনেক প্রশস্ত হয়েছে। উপভোক্তারা এক নিমেষে তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে যান। এর ফলে ভারতে পরিষেবা প্রদানে স্বচ্ছতা এসেছে। দুর্নীতি কমেছে। মধ্যসত্ত্বভোগী বা দালালের সংখ্যা কমিয়ে ফেলেছি আমরা।