নয়াদিল্লি: এক ধাক্কায় অনেকটাই সম্পত্তি বাড়ল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এক বছরে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে মোদির। ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৭ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৮৫ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটে সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য মিলেছে।
৩১ মার্চের হিসেব অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাঙ্কাউন্টে মোট ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৮০ টাকা রয়েছে। তাঁর হাতে নগদ রয়েছে ৩৬ হাজার ৯০০ টাকা। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গান্ধীনর ব্রাঞ্চে ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে মোদির। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই ফিক্সড ডিপোজিটেরই পরিমাণ ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ১.৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সুদের কারণেই মোদির সম্পত্তি অনেকটাই বেড়েছে।
আরও পড়ুন: নেই বাড়ি-গাড়ি, পাঁচ বছরে আয় বৃদ্ধি ৬ লক্ষ, মমতার সম্পত্তির পরিমাণ কত?
মোদির নিজস্ব কোনও গাড়ি নেই। তাঁর নামে কোনও ঋণও নেই। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে কোনও সম্পত্তি কেনেনি তিনি। তবে ১.১ কোটি টাকার একটি বসত সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। যেটি ২০০২ সালে কেনা হয়েছিল। যৌথ এই সম্পত্তির মাত্র ২৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে মোদির। ১৪ হাজার ১২৫ স্কোয়ার ফিটের মধ্যে মোদির নামে রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৫৩১ স্কোয়ার ফিট।
শেয়ার বাজার বা মিউচাল ফান্ডে কোনও বিনিয়োগ করেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী। ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেটে ৮ লক্ষ ৯৩ হাজার ২৫১ টাকা সঞ্চিত রয়েছে। লাইফ ইন্স্যুরেন্সে রয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৫৭ টাকা। এছাড়া ২০১২ সালে লার্সেন অ্যান্ড টুবরো ইনফ্রা বন্ডে বিনিয়োগ করেছিলেন মোদী। ৪টি সোনার আংটিও রয়েছে তাঁর। যার মূল্য ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩৩১ টাকা।
আরও পড়ুন: মোদির জন্মদিনে টিকাকরণের পরিসংখ্যানে ব্যাপক কারচুপি, টিকা পেয়েছেন ‘মৃত’ মহিলাও
অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, জনজীবনে অধিকতর স্বচ্ছতার জন্য সকল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের প্রত্যেক আর্থিক বছরের শেষে স্বেচ্ছায় তাঁদের সম্পদ ও দায়-দায়িত্ব ঘোষণা করতে হবে। এই সমস্ত তথ্য পাবলিক ডোমেইনে উপলব্ধ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই তা চাইলেই যে কেউ দেখতে পারবেন।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সম্পত্তি, আয়-ব্যয় এবং ব্যক্তিগত তথ্য সংক্রান্ত হলফনামা। হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তৃণমূল প্রার্থীর আয় ছিল ১০ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৭০ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮৪৫ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে সেই আয় ছিল ৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা। গত পাঁচ বছরে তাঁর আয় বেড়েছে মাত্র ৬ লক্ষ ২৯ হাজার ৫৪৫ টাকা।