নয়াদিল্লি: ফের একবার ইডি দফতরে হাজিরা এড়ালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (State Law Minister Malay Ghatak)। বুধবার তাঁকে দিল্লির সদর দফতরে তলব করা হয়েছিল, তবে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও ইডির (Enforcement Directorate) দফতরে যাননি তিনি। রাজ্যের একের পর এক হেভিওয়েট নেতার নাম জড়িয়েছে দুর্নীতিতে। কখনও নিয়োগ দুর্নীতি তো আবার কখনও গরুপাচার (Cattle trafficking) থেকে শুরু করে কয়লাপাচার (Coal smuggling)! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে শাসক দলের নেতারা! সব মিলিয়ে পঞ্চায়েতের আগেই অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।
সূত্রের খবর, হাজিরা এড়ালেও আইনজীবী মারফত সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ইডি-র (Enforcement Directorate) তরফে মলয় ঘটকের কাছে নথি চাওয়া হয়েছিল। আইনজীবী সেই নথি নিয়ে পৌঁছেছেন ইডি অফিস। বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ ইডি অফিসে যান মলয় ঘটকের আইনজীবী। কয়লা পাচার মামলার অন্যতম তদন্তকারী অফিসার পঙ্কজ কুমার সিং-এর সঙ্গে তিনি দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও চলতি মাসের মলয় ঘটকের আপ্তসহায়ক শঙ্কর চক্রবর্তীকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু তিনিও সেই হাজিরা এড়িয়ে যান। এর আগেও একাধিকবার মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে, এরপরেই ফের একবার মলয়কে তলব করে ইডি।
আরও পড়ুন:Karnataka Assembly Elections 2023 । কর্নাটক বিধানসভায় ভোট ১০ মে, ফল ১৩ তারিখ
উল্লেখ্য, কয়লা কাণ্ডের তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু তথ্যের পাশাপাশি কয়েক জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে গোয়েন্দারা। তদন্ত সূত্রে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও তার স্ত্রী রুজিরাকেও (Rujira Banerjee) জেরা করেছে গোয়েন্দারা। পাশাপাশি তাদের হাতে উঠে আসে মলয় ঘটকের নাম। একাধিক অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা নাম হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁকে এ ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদ করাটা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা। এরপরেই তলব করা হয় তাকে। একাধিকবার তলব করা হলেও মাত্র একদিনই দিল্লির অফিসে হাজিরা দিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। শুধু তাই নয়, এর আগে মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশিও চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। কলকাতার বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল মন্ত্রীকে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তল্লাশি চালানো হয়েছিল তাঁর আসানসোলের বাড়িতে। দিনভর তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছিলেন গোয়েন্দারা।
