মুম্বই: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই মেট্রোর কারশেড প্রকল্পটি পুরনো জায়গায় অর্থাৎ আরে কলোনিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন একনাথ শিণ্ডে৷ রাজ্যের পরিবেশ এবং পশুপ্রেমীরা বরাবরই সেখানে এই প্রকল্পের বিরোধী৷ তাঁদের মতে, আরে কলোনিতে মেট্রোর কারশেড তৈরি হলে বন্যপ্রাণীদের অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে৷ ধ্বংস হবে পরিবেশ৷ এবার প্রস্তাবিত ওই মেট্রো কারশেড তৈরির জায়গায় বনদফতরের তরফে লাগানো ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বন্যপ্রাণীরা৷ বনকর্মীরা জানিয়েছেন, মেট্রো লাইন থ্রি কার ডিপোতে পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ও মহিলা লেপার্ড-সহ অনেক বন্যপ্রাণী দেখা গিয়েছে৷
মুম্বইয়ের ফুসফুস বলে পরিচিত আরে ফরেস্ট বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের বাসস্থান৷ মাঝে মধ্যেই সেখানে লেপার্ডও দেখা যায়৷ আরে কলোনির প্রস্তাবিত মেট্রো লাইন থ্রি কার ডিপোতে ঠিক কত সংখ্যক বণ্যপ্রাণী চলাফেরা করে তা সমীক্ষা করে খুঁজে বের করার নির্দেশ থানের বনদফতরকে দিয়েছিলেন আগের সরকারের পরিবেশমন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে৷ সেই মতো গত বছর নভেম্বর থেকে এবছর জুন পর্যন্ত সেখানে ক্যামেরা বসিয়ে সমীক্ষা চালান বনকর্মীরা৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বনকর্মী সংবাদমাধ্যম মিড ডে-কে জানিয়েছেন, সমীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল কার ডিপোর কাছে লেপার্ড-সহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীদের গতিবিধি এবং তাদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখা৷ আট মাস ধরে চলা সমীক্ষায় দিনের বিভিন্ন সময়ে সেখানে পাঁচটি লেপার্ড, বনবিড়াল, মংগুস এবং গোসাপ দেখা গিয়েছে৷
বনদফতরের এই সমীক্ষা নতুন করে উজ্জীবিত করেছে বন্যপ্রেমীদের৷ এর আগের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে আরে কলোনিতে মেট্রো কারশেড প্রকল্পের বিরোধী ছিলেন৷ তিনিই কারশেড প্রকল্পটি সেখান থেকে কাঞ্জুমার্গে স্থানান্তরিত করেন৷ সেই সঙ্গে আরের ৮১২ একর এলাকাটি জঙ্গল বলে ঘোষণা করেন৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন বন্যপ্রাণী এবং প্রকৃতিপ্রেমীরা৷ তবে নতুন সরকারের সিদ্ধান্তে অখুশী তাঁরা৷ ইতিমধ্যে পরিবেশপ্রেমীরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছেন৷ টুইট করে সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান আদিত্য থাকরে৷ তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ ঠাকরের ছেলে অমিতও৷ সরকারি কর্তাদের মতে, প্রকল্পের কাজ শুরু হলে বিক্ষোভ বড় আকার ধারণ করতে পারে৷