মালদহ: উন্নয়ন হয়নি, তাই পঞ্চায়েতে আর ভোট নয়। দীর্ঘ নয় মাস ধরে উন্নয়নের দাবিতে গ্রামবাসীর আন্দোলন চলছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়ানো যায়নি। তাই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) বয়কটের সিদ্ধন্ত নিয়েছে মালদহের (Malda) হবিবপুরে ব্লকের মঙ্গলপুরা পঞ্চায়েতের অধীনে তিনটি গ্রাম। রাধাকান্তপুর, জগন্নাথপুর এবং রামকৃষ্ণপুরের বাসিন্দারা এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভোট বয়কটের প্রচারে নেমেছেন। তিন গ্রামেই ভোট বয়কটের দাবিতে পোস্টার (Poster) পড়েছে। এই বয়কট আন্দোলনের পুরোভাগে দেখা যাচ্ছে মহিলাদের।
ওই তিন গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বঞ্চনার শিকার। বারবার বলা সত্ত্বেও পাকা রাস্তা হয়নি। স্থায়ী দুটি পাকা সেতু আজও গড়ে ওঠেনি। ফলে যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে বাসিন্দাদের। তাই প্রায় ১৫০০ বাসিন্দা এবার ভোট দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই সব এলাকার রাজনৈতিক নেতারাও ঠিক করেছেন, কেউ ভোটে দাঁড়াবেন না। গ্রামবাসীর ক্ষোভ সাংসদ,বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে। এখানকার সাংসদ এবং বিধায়ক যেমন বিজেপির, তেমনি পঞ্চায়েত সমিতিও বিজেপির দখলে। অভিযোগ, আজ পর্যন্ত এই তিন গ্রামে সাংসদ, বিধায়কের দেখা মেলেনি। এবার গ্রামের মানুষ ভোট বয়কটের ডাক দেওয়ায় বিজেপি নড়েচড়ে বসেছে।
এই বিষয়ে হবিবপুরের বিডিও সুপ্রতীক সাহা জানান, গ্রামে রাস্তা এবং সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। এই কাজ করার কথা পূর্ত দফতরের। কিছু সমস্যার জন্য কাজ এখনও হয়ে ওঠেনি। তবে গ্রামের বাসিন্দারা যাতে শেষপর্যন্ত ভোট বয়কট না করেন তার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। যদিও স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানান, “ভোট আমরা দেব না। অনেকবার অনেক জায়গায় বলেছি। কাজ হয়নি। এবার দেখি আমাদের কে জোর করে ভোট দেওয়াতে পারে।”
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর অভিযোগ, এই এলাকাগুলি বিজেপি প্রভাবিত বলে তৃণমূল প্রশাসন নানাভাবে বাসিন্দাদের বঞ্চিত করে রেখেছে। সাংসদ জানান, গ্রামনবাসীর দাবি ন্যায্য। তিনি বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবেন।