কলকাতা: মুকুল রায়ের মতো তাঁকেও রোগে ধরেছে বলে এবার দাবি করলেন মদন মিত্র। সোমবার কামারহাটির এই বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক এবং প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘আমি হ্যালুসিনেশনে ভুগছি। আগের দিন কী বলেছি, মনে করতে পারছি না। আমার মুকুলের রোগ ধরেছে। অ্যালঝাইমার্স হয়েছে।’এরই পাশাপাশি রাজনীতি থেকে অবসরেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন মদন। ‘বিদ্রোহী’ এই তৃণমূল নেতা বলেন, ‘মেসি, রোনাল্ডো, সচিন, ধোনি রিটায়ার করবে আর মদন মিত্র রিটায়ার করবে না? তবে আমি একটা জিনিস বুঝেছি, মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে। রাজনীতি ছাড়লে অবসর জীবনে ছোটদের পড়াব। আমাকেও পড়াশোনা করতে হবে। কারণ মনে হচ্ছে ব্যাকডেটেড হয়ে যাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে রোগী ভর্তি নিয়ে বিদ্রোহী কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। শনিবার কার্যত বোমা ফাটিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বললে আমি এখনই ইস্তফা দেব। কিন্তু কথা দিতে হবে এক মাসের মধ্যে কামারহাটিতে উপনির্বাচন করতে হবে। যদি আমি রাজনীতি ছাড়ি তাহলে বই লিখব। তেইশ মাস জেলে থাকাকালীন কী হয়েছিল সেই নিয়ে বই লিখলে বইমেলায় কিন্তু সেই বই বেস্ট সেলার হবে।’ একথা যে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীকে খোঁচা দিয়েই বলা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সঙ্গে কুণাল ঘোষকে নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি পিজি হাসপাতাল বয়কটের ডাকও দেন। এই ঘটনায় পিজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মদনের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করে।
আরও পড়ুন: Abhishek Case in Supreme Court | শীর্ষ আদালতে অভিষেক মামলার শুনানি শুক্রবার
এরপরেই কুণালের সঙ্গে বৈঠক হয় মদনের। বেশ খানিকক্ষণ কথা হয় দু’জনের মধ্যে। তবে তারপরই সুর নরম হয় মদনের। অভিমানের স্পষ্ট ছাপ উঠে আসে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের কথায়। মদন বলেন, ‘যাঁদের মনে হয়েছে তাঁরা এফআইআর করেছেন। হাসপাতালের কোনও কর্মীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনি। আমার উপস্থিতিতে কেউ আঘাত পেলে আমি দুঃখিত। জন্মলগ্ন থেকেই কেস খাওয়া লেখা থাকে কারও কারও। কেস খাওয়া আমার কপালে লেখা রয়েছে। ‘কণ্ঠে আমার কাঁটার মালা, ফুলে মালা নয়, দুঃখ যাহার মাথার মুকুট, ঝড়কে কী তার ভয়! কংগ্রেস আমলে কেস খেয়েছি, সিপিএমের আমলেও খেয়েছি, বিজেপিও কেস দিয়েছে, এওবার তৃণমূলও দিল।’