কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: একটা লাড্ডুর দাম ৪৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা! হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। এতক্ষণে হয়তো গবেষণায় বসে গিয়েছেন, বা তর্ক জুড়ে দিয়েছেন, এ তো লাড্ডু নয় নিশ্চয়। কিন্তু, বিশ্বাস করুন, সোনা বা হিরের নয়, সত্যিই মোতিচুরের লাড্ডু। যা বিক্রি হয়েছে ওই টাকায়। ছোটবেলায় একটা লৌকিক ছড়া বেশ প্রচলিত ছিল, ‘গণেশদাদার পেটটি নাদা, খড় খেয়েছেন গাদা গাদা।’ তাঁর নাম গণপতি। সিদ্ধিবিনায়ক। অতএব, শরীরের আকৃতির মতোই হবে তাঁর রকমসকম।
ভারতের এক বিরাট অংশের ইষ্টদেবতার প্রিয় খাবার লাড্ডু, মোদক ইত্যাদি। আর বিভিন্ন পুজোয় এই লাড্ডুর আকার নিয়েও চলে প্রতিযোগিতা। কোথাও আকার না-হলেও মহাপুজোর মহাপ্রসাদ চড়ে নিলামে। মূলত বড় বড় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীরা এই নিলামে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দরে কিনে নেন গণপতিবাপ্পার প্রসাদ। যিনি শেষ পর্যন্ত এই প্রসাদ কিনতে সমর্থ হন, লোকবিশ্বাস এই যে তিনি স্বয়ং গণপতির আশীর্বাদ প্রাপ্ত হন।
আরও পড়ুন: Deep Depression: শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপ পরিণত হল গভীর নিম্নচাপে
ঠিক এমনটাই ঘটেছে হায়দরাবাদে। দক্ষিণের প্রাচীন এই শহরের আলওয়াল মারাগাথম লক্ষ্মী-গণপতি মন্দিরের গণেশ চতুর্থীর প্রসাদ লাড্ডু এই দামেই নিলামে বিক্রি হল। স্থানীয় ব্যবসায়ী দম্পতি বেঙ্কট রাও এবং গীতাপ্রিয়া এই লাড্ডু জয় করে বেশ গর্বিত ও ধন্য বোধ করছেন। প্রতিবছরই গণেশ চতুর্থীর রেশ কেটে যাওয়ার পর পুজোর ভোগ নিলামে ওঠে। এটাই এই মন্দিরের ঐতিহ্য বা প্রথা। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। নিলামে কেনার পর মন্দিরের পুরোহিত বেঙ্কটের পাগড়ি পরা মাথায় তুলে দেন লাড্ডুর হাঁড়ি।
একইভাবে হায়দরাবাদেই ২১ কেজির একটি লাড্ডু ২৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি হল। স্থানীয় ব্যবসায়ী ভি লক্ষ্মণ রেড্ডি লাড্ডুটি কেনেন। প্রসঙ্গত, গত বছর এই লাড্ডু ১৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকায় নিলামে চড়েছিল। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই প্রসাদ যিনি পান, অখণ্ড সৌভাগ্য, স্বাস্থ্য, সম্পদ এবং সমৃদ্ধি তার কপালে জোটে।