লখনউ, ১৫ জুলাই: তাঁরা অবাধ্য। কথা শোনেনি। ‘দুষ্টু’ লোক। আর ‘দুষ্টু’ লোকের কাছে উপহার থাকবে! নৈব, নৈব চ!
আর তাই তো উপহার ফিরিয়ে নিল অখিলেশের দল। মানে উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি।
একটু খোলসা করা যাক। দলের হোমড়াচোমড়া নেতা থেকে শুরু করে বন্ধু দল। সক্কলকে উপহার হিসাবে গাড়ি দেওয়া শুরু করেছিলেন অখিলেশ যাদব। বহু মূল্যের ফরচুনার দেওয়া হয়েছিল। সেই দামি গাড়িতেই রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত চষে বেড়াতেন ওমপ্রকাশ রাজভড়। সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি (এসবিএসপি)-এর প্রধান। সপার বন্ধু দল এই এসবিএসপি।
এত দিন সব ঠিকই ছিল। কিন্তু, গোল বাধল রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিজেপি তথা এনডিএ তাদের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করতেই। সাইকেল থেকে নেমে পড়লেন ওমপ্রকাশ। পিছিয়ে পড়া মানুষদের কথা বলবে বলে ২০০২ সালে এই দল তৈরি হয়েছিল। আর তাই মুর্মুকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। তাতেই গোঁসা হয় অখিলেশের। ওমপ্রকাশকে দেওয়া ফরচুনার ফিরিয়ে নেন । যদি, এ সব বিতর্কের মধ্যে যায়নি এসবিএসপি। তাদের দাবি, ওমপ্রকাশকে ফরচুনার দেওয়াই হয়নি, ফেরানো তো দূরের কথা। তাদের নেতা তো ইনোভা চড়তেন।
দিন কয়েক ধরেই গো-বলয়ের এই রাজ্যে চলছিল ‘গাড়ি ফেরত রাজনীতি’। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল একের পর এক অভিযোগ। এবার সেই তালিকার যোগ হল আর একটি নাম ।
কেশবদেব মৌর্য। মোহন দলের নেতা। উত্তরপ্রদেশে যে দলের পথ চলা শুরু ২০০৮ সালে। রোহিলখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে যাদের ভালই প্রতাপ। সেখানকার পিছিয়ে পড়া মানুষ জনের কথা বলে তারা। এসবিএসপি-র পথেই এগোতে শুরু করেন কেশবদেব। তিনিও মুর্মুকে সমর্থনের কথা জানান। এ-কথা শোনার পরই কেশবদেবের ফরচুনার-ও কেড়ে নিয়েছেন অখিলেশ।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলো এক জোট হয়ে যশবন্ত সিনহাকে রাষ্ট্রপতি ভোটে প্রার্থী করেছে। যে দলের মধ্যে রয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিও। অন্য দিকে, বিজেপি প্রার্থী করেছে দ্রৌপদী মুর্মুকে। সাঁওতাল পরিবারের দ্রৌপদীকে প্রার্থী করার পর তাঁকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিষয় বেশ কিছু উপজাতি-সমর্থিত দল। সেই তালিকায় রয়েছে মোহন দল, এসবিএসপি-র মতো দলগুলি।