রাঁচি: সদ্যোজাত শিশুকে বিক্রি করতে গিয়ে ঝাড়খণ্ডে ধৃত প্রসূতি। সাড়ে ৪ লাখ টাকায় শিশুটিকে বিক্রি করেছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ড পুলিশ (Jharkhand Police) ছত্র জেলার (Chatra district) ওই ঘটনায় অন্যান্য অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে। শিশুটি জন্মের পরপরই বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ধৃত ওই প্রসূতির নাম আশাদেবী (Asha Devi)। স্থানীয় এসডিপিও অবিনাশ কুমার (Sub-Divisional Police Officer (SDPO) Avinash Kumar) বলেন, পুলিশ ঘটনার কথা জানতে পেরে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। বোকারো জেলা থেকে সদ্যোজাতকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। সাংবাদিক সম্মেলনে এসডিপিও আরও বলেন, আশাদেবীর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ডিম্পল দেবী নামে একজনের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে বোকারো থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাজারিবাগ জেলার বাদকাগাঁও গ্রামের (Badkagaon village in Hazaribag) এক দম্পতি ছত্র ও বোকারোর ব্রোকারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এই ব্যাপারে। তাঁরা সাড়ে ৪ লাখ টাকা দাম দিতে চেয়েছিলেন। তার মধ্যে সদ্যোজাতর মাকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। বাকি সাড়ে ৩ লাখ টাকা ব্রোকারদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হয়। ঘটনায় ছত্র থানায় সদর হাসপাতালের ডেপুটি সুপারিটেন্ডেন্টের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: QR Code On Tomb | ছেলের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে সমাধির উপর কিউআর বসালেন অভিভাবক
এই ধরনের চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হাসপাতালের এক কর্মী বলেন, একটি বড় চক্র এর পিছনে সক্রিয়। তারা গরিব, অসহায় প্রসূতিদের টার্গেট করে। তাঁদের কাছে লোভনীয় প্রস্তাব নিয়ে যায়। তার বদলে আগেই সদ্যোজাতর দাম ঠিক করে নেওয়া হয়। তারপর সেই অনুযায়ী বিক্রি করে দেওয়া হয়। কন্যা সন্তান হলে একরকম দাম দেওয়া হয়। পুত্র সন্তান হলে আরেকরকম দাম দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় কোনও বড়সড় চক্র জড়িয়ে আছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এক্ষেত্রে ওই ব্রোকাররা আর কারও ক্ষেত্রে সেরকম করেছে কি না ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে ব্যবহার করেছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও। এই চক্র কি রাজ্যে সীমাবদ্ধ নাকি কোনও আন্তঃরাজ্য পাচার চক্রের সঙ্গে এদের কোনওভাবে যোগ আছে সে বিষয়েও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।