ঝালদা: অবশেষে ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) চার কাউন্সিলের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করল ঝালদা থানার পুলিশ। গত ১৬ জানুয়ারি ঝালদা পুরসভায় হাইকোর্টের নির্দেশে চেয়ারম্যান নির্বাচন ছিল। নির্বাচনী আধিকারিক ছিলেন ঝালদা মহকুমাশাসক রীতম ঝাঁ। ভোটে অংশ নিয়েছিলেন ঝালদা পুরসভার ১২ জন কাউন্সিলর। যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পাঁচ, কংগ্রেসের (Congress) পক্ষে ছ’ জন এবং একজন নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন। সকাল ১১টায় নির্বাচন পক্রিয়া শুরু হয়। প্রত্যেক কাউন্সিলরকে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যালট পেপার দেওয়া হয়। কিন্তু তৃণমূলের চার সদস্য ব্যালট পেপার (Ballot Paper) নিলেও প্রাক্তন পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল অবশ্য ব্যালট পেপার নেননি।
কংগ্রেসের পাঁচজন সদস্য ভোট দিয়ে ব্যালট পেপার প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে জমাও দিয়েছিলেন। তৃণমূলের ৪ জন কাউন্সিলর জমা না দিয়ে ব্যালট পেপার সঙ্গে করে নিয়ে চলে যান। বেরিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদিকদের সেই ব্যালট পেপার দেখানও।
আরও পড়ুন: Visva-Bharati University: বিশ্বভারতীর অধঃপতনের জন্য দায়ী প্রাক্তন উপাচার্যরা, বিস্ফোরক বিদ্যুৎ
সেই দিনই পুর কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে ঝালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ, ঝালদা থানা সেই লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেনি। সেই দিনই মেলের মাধ্যমে অভিযোগ পাঠানো হয় ঝালদা থানায়। কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ জেলার পুলিশ সুপারকে মেলের মাধ্যমে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকেও কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে পুরুলিয়া (Purulia) জেলা আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ঝালদা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়েল। বিচারক সেই দিনই ঝালদা থানার আইসিকে মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন। গত ১ তারিখে ঝালদা থানা একটি মামলা রুজু করে।
তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রিজওনার খাতুন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ণিমা বাগদী এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জবা মাছোয়ারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডিবিধির (IPC) ৩৭৯, ৫০৬ এবং ৩৪ ধারায় মামলা করা হয়। যার মধ্যে ১টি জামিন অযোগ্য ধারা রয়েছে।