পুরুলিয়া: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করল ঝালদা থানার পুলিস। বুধবার তাঁকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হবে। দীপক কান্দু পুরভোটে তৃণমূলের টিকিটে ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তপনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থী কাকার কাছে তিনি নির্বাচনে হেরে যান। তপন কান্দুর মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে জেলা পুলিস একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করে। সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিস সুপার (অপারেশন) চিন্ময় মিত্তল।
রবিবার সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, পুলিসি মদতে নিহত তপন কান্দুকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। তাঁর কথায়, এটা ‘মার্ডার ফর মেজোরিটি’ অর্থাৎ সংখ্যা গরিষ্ঠতার কারণেই তপনকে খুন করা হয়েছে৷ পুলিস সরাসরি ঘটনায় জড়িত রয়েছে৷ তৃণমূল পুরবোর্ড দখল করতেই তপন কান্দুকে খুন করেছে বলে অধীরের দাবি৷ সেই কারণে অভিযুক্তদের শাস্তি ও সঠিক বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পথ অবলম্বন করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন৷ মঙ্গলবার সংসদেও তপন কান্দুর মৃত্যু নিয়ে সরব হন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী।
আরও পড়ুন: Councillor Murder: দুই কাউন্সিলর খুনে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক মুখ্যসচিবের