নয়াদিল্লি: একদিকে জঙ্গি হামলার সতর্কতা, অন্যদিকে আড়ম্বরপূর্ণ ৭৭-তম স্বাধীনতা দিবস পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে। প্রথা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর কিছুক্ষণের মধ্যেই লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ভাষণ দেবেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই মোদির শেষ ভাষণ। ফলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এদিন মোদি কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন, কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলিকে ঠেস মেরে আক্রমণের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা, সীমান্ত নিরাপত্তা ও সেনাবাহিনীর অসম সাহসী কৃতিত্বকে খতিয়ান হিসেবে তুলে ধরতে পারেন। তবে তিনি মণিপুর নিয়ে একটি কথাও বলেন কিনা সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।
মোদিকে আজ পতাকা উত্তোলনে সাহায্য করবেন সেনাবাহিনীর দুই মহিলা মেজর নিকিতা নায়ার এবং জেসমিন কৌর। এই অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির ১৮০০ জন বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন। তবে তাঁরা কেউ রাষ্ট্রপ্রধান বা নেতা নন, দেশেরই সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষ বিশেষ অতিথি হয়ে এসেছেন অনুষ্ঠানে।
এবারের স্বাধীনতা দিবসের আরও একটি বিশেষ তাৎপর্য হল, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্ত হতে এই প্রথম সম্পূর্ণ দেশে তৈরি কামান থেকে ২১ বার তোপধ্বনি করা হবে। আত্মনির্ভর ভারতের অঙ্গ হিসেবে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি ১০৫ এমএম কামান থেকে তোপধ্বনি হবে। এতদিন ব্রিটিশ আমলের ২৫ পাউন্ডের কামান থেকে তা করা হতো।
অনুষ্ঠানের কার্য বিবরণীতে জানা গিয়েছে, বিশেষ অতিথিদের মধ্যে থাকবেন আদর্শ গ্রামের কয়েকজন সরপঞ্চ, কৃষি উৎপাদন সংস্থার প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রাপক উপভোক্তা, প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার প্রতিনিধি, সেন্ট্রাল ভিস্টার শ্রমযোগী (নির্মাণ কর্মী), খাদি কর্মী, সীমান্ত সড়ক অমৃত সরোবর ও হর ঘর জল প্রকল্পের নির্মাণ শ্রমিক, প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক, নার্স এবং মৎস্যজীবী প্রতিনিধি।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে ১২টি জায়গায় তৈরি করা হয়েছে সেলফি পয়েন্ট। ১৫-২০ অগাস্ট পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি অনলাইন সেলফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর পতাকা উত্তোলনের পরপরই দুটি ধ্রুব হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হবে। রবিবারই প্রধানমন্ত্রী তাঁর সামাজিক মাধ্যমের প্রোফাইল ছবি বদলে ফেলেছেন। সেখানে নিজের ছবির জায়গায় জাতীয় পতাকা ব্যবহার করেন। দেশবাসীকেও তাঁদের অ্যাকাউন্টের ডিসপ্লে পিকচারে তেরঙ্গা লাগানোর আর্জি জানান মোদি।