কলকাতা: নন্দীগ্রাম মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিস পাঠাল হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে হাই প্রোফাইল নন্দীগ্রাম মামলার (Nandigram Case) শুনানি ছিল। ২০২১ বিধানসভা ভোটের নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandapadhaya)। আগে মামলা চলছিল বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। পরে তা স্থানান্তরিত হয় বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে।
বুধবার শম্পা সরকারের এজলাসে প্রথম শুনানি ছিল। আদালত নির্দেশ দেয়, চিফ ইলেকশন অফিসার নির্বাচনের ইভিএম, ভিভিপ্যাট, ভিডিও, ছবি, এবং নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত সমস্ত নথি সংরক্ষণ করে রাখবেন। নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিসও পাঠায় হাইকোর্ট। রুল ২৪ অনুযায়ী মামলা সম্পর্কিত বিষয়ে শুভেন্দুকে নোটিস দেওয়া হল। হাই প্রোফাইল এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ অগস্ট।
২ মে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিন প্রথমে দেখা যায়, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandapadhaya) জিতে গিয়েছেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, গননা বাকি রয়েছে। এরপর বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২১ মে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। কিন্তু প্রতিবাদ জানানো হয় তৃণমূলের তরফে। তাঁদের দাবি, বিচারপতি চন্দকে বিজেপির বহু সভায় দেখা গিয়েছে। মামলায় পক্ষপাতিত্ব করা হবে। ২৪ জুন হাইকোর্টে বিচারপতি চন্দ’র বেঞ্চে নন্দীগ্রাম-মামলা অন্য এজলাসে স্থানান্তর করার আবেদন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে ভার্চুয়ালি সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি৷
ওই দিনের শুনানি পর্বে এজলাসে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ ৭ জুলাই হাইকোর্টে বিচারপতি চন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাস-বদলের আবেদনের রায় ঘোষণা করে জানান, তিনি নন্দীগ্রাম- মামলা থেকে সরে যাচ্ছেন৷ তাঁর এজলাসে এই মামলার শুনানি হবে না৷ ওই মামলা ফেরত পাঠানো হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে৷
রায় ঘোষণার আগে পর্যবেক্ষণে এ দিন বিচারপতি জানিয়েছিলেন, “সংশ্লিষ্ট মামলায় আমি দু’তরফের কাউকেই ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তা সত্ত্বেও আদালতের ভিতরে এবং বাইরে আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে প্রতিবাদ সংগঠিত করা হয়েছে৷ এই ধরনের কাজ সঠিক নয়।আইনজীবী হিসাবে যে কোনও আইনজীবী যে কোনও মামলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। সেটা তাঁর পেশাগত বিষয়৷” এরপরই মামলা স্থানান্তরিত হয় বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে।