কলকাতা: গতবছর আলু ( Potato) চাষে (Cultivation) ভালোরকম লাভের মুখ দেখে এবার বেশি পরিমাণে আলু লাগিয়েছিলেন কৃষকরা। কিন্তু এবার গতবারের পুনরাবৃত্তি হয়নি। অনেকেই ঋণ (Loan) করে আলু লাগান। পরে আলু বিক্রি (Sell) করে তা শোধ করেন। কিন্তু অনেক কৃষকই (Farmer) এবার লাভের মুখ দেখেননি। কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। বিষয়টি এবার বিধানসভায় (Assembly) উল্লেখ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। সরকার যাতে আলু কেনে সে ব্যাপারে সওয়াল করেন তিনি।
তিনি সোমবার বলেন, সরকারি দরে (Government Rate) আলু কেনার ব্যাবস্থা করা হোক। শর্ট টার্ম লোনের ক্ষেত্রে আলু চাষীদের কৃষি ঋণ পরিশোধ করার ব্যাবস্থা করুন। যাতে আর কোনও চাষীকে আত্মহত্যা না করতে হয়। এই বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovondev Chattapadhyay) জবাব দেন, চাষীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১০ হাজার মেট্রিক টন আলু কেনার ব্যাবস্থা করেছেন। রাজ্য সরকার আলু চাষীদের সঙ্গে আছে। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার (Pradip Mazumdar) বলেন, উত্তর প্রদেশে ৪.৫ টাকা কেজি প্রতি দরে ভালো মানের আলু বিক্রি হয়েছে।গতবারে সব থেকে বেশি ১৪/১৫ টাকা দর পেয়েছেন চাষীরা। ক্ষেত থেকে ১৪/১৫ টা দরে আলু বিক্রি করেছেন। সরকার নূন্যতম সহায়ক মূল্য ৬.৫ টাকা ঘোষণা করার পর ব্যাবসায়ীদের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে।এটা সরকার আগেই বুঝেছিল।গত কাল ৯ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন: Basirhat Incident | কাল শুরু উচ্চ মাধ্যমিক, বসিরহাটে পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
এই বিষয়ে সরকারের বক্তব্য, কৃষকরা অভাবি বিক্রি করতে বাধ্য হবেন বলে অনেকেই সুযোগ খুঁজছিলেন। সেটা বুঝতে পেরেই ৩ মার্চ আলুর সহায়ক মূল্য ঠিক করে দেয়। লোভী ব্যাবসায়ীরা লোভের জন্য অন্য রাজ্য থেকে আলু নিয়ে এসে হিমঘরে রেখেছিলেন। যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তা হয়েছে লোভী ব্যাবসায়ীরা। আলু চাষীদের ক্ষতি হয়নি। উল্লেখ্য, তিন মার্চ সরকার সাড়ে ৬০০ টাকা কুইন্টাল দরে আলু কেনা হবে বলে নির্দেশিকা জারি করে। একজন চাষি সর্বাধিক ২৫ কু্ইন্টাল আলু বিক্রি করতে পারবেন। সরকারের সঙ্গে হিমঘর মালিকদের চুক্তি হয়েছে। হিমঘর মালিকরা আলু কিনবেন। চাষির অ্যাকাউন্টে তাঁরা টাকা পাঠিয়ে দেবেন। এজন্য হিমঘর মালিকরা সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও নিতে পারবেন। আলুর সহায়ক মূল্যের দাম বৃদ্ধিতে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কৃষকরা। কখনও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে আলু ছড়িয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। হুগলি সহ বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কৃষকরা। এদিকে আলু চাষীদের কৃষি ঋণ মুকুব করতে হবে বলে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়করা। এ ছাড়া চা বাগানের জমিতে যেভাবে আবাসন শিল্প হচ্ছে তার বিরুদ্ধেও এদিন বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।