ক্যালিফোর্নিয়া: সারা বিশ্বে ১২,০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করার কথা আগেই ঘোষণা করেছে গুগল (Google)। সংস্থার সিইও সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai, Chief Executive Officer of Google) নিজের বেতন (Salary) কমিয়েছেন, একাধিক শীর্ষ কর্তার বেতনে কাটছাঁট করা হয়েছে। কিন্তু সেখানেই থেমে নেই গুগল, খরচ কমানোর জন্য প্রতিনিয়ত উপায় খুঁজছে। সংস্থা গণছাঁটাইয়ের (Mass Layoff) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার অন্যতম কারণ হলো, যতটা লাভ হবে বলে আশা করা হয়েছিল, সেই পরিমাণ মুনাফা (Revenue) আসছে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) পিছনে কোম্পানি এখন যাবতীয় মনোনিবেশ করতে চায়। সেই কাজে যেমন বিনিয়োগ (Investment) দরকার, ফলে অন্য খাতের অর্থ সেই দিকে খরচ করতে হলে কর্মী সংখ্যা কমাতেই হবে। সংস্থার মানব সম্পদ দফতর (HR Department) এখন ভীষণ ব্যস্ত ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের তালিকা তৈরি করতে। ধাপে ধাপে কর্মী সংখ্যা কমানো চলছে।
আরও পড়ুন: Eve-teasing| বোনকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় দাদাকে ভোজালি দিয়ে খুনের চেষ্টা
চলতি সপ্তাহে প্রথম দিনই জানা গিয়েছিল, কর্মীদের জন্য দেওয়া বিনামূল্যের খাবার (Free Foods), লন্ড্রি সার্ভিস (Laundry Service) এবং আরও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাতিল করছে গুগল। সেই তালিকায় রয়েছে বিনামূল্যের ফিটনেস ক্লাস (Fitness Class), স্টেপলার (Stapler), টেপ (Tape) ইত্যাদি। কারণ সেই একটাই। অতিরিক্ত খরচ বাঁচানো এবং সংস্থা যে লাভের অঙ্কটা দেখতে চায়, তা নিয়ে আসা। এবার শোনা যাচ্ছে, খরচ কমাতে আরও এতটি অভিনব উপায় বের করছে অগ্রণী এই মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা।
কী সেই অভিনব পন্থা? আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারদের (Engineers) অ্যাপল ম্যাকবুক (Apple Macbooks) দেবে গুগল। আর বাদবাকি বিভাগের (ইঞ্জিনিয়ারিং বহির্ভূত) জন্য বিনামূল্যের কম্পিউার (Free Computer) হিসেবে বরাদ্দ করা হচ্ছে সস্তার ক্রোমবুক (Chromebooks)। সময়ে সময়ে গুগল তার কর্মীদের ল্যাপটপ বদলে দেয়। এবার তাদের লাগাম টানছে সংস্থা।
গুগলের অর্থনৈতিক প্রধান রুথ পোরাট (Ruth Porat, Google’s Finance Chief) কর্মীদের উদ্দেশ্যে ইমেইল (E-Mail) পাঠিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, কর্মীরা যে হাইব্রিড মডেলে (Hybrid Model) কাজকর্ম করেন, তাতে বদল আনা হচ্ছে। সারা বিশ্বে গুগলের যত অফিস রয়েছে, সেখানে যে সমস্ত ক্যাফে (Cafe) রয়েছে, তার ব্যবহার কমানোর উপরেও জোর দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এরপরই তিনি উল্লেখ করেছেন, আপগ্রেডেড (Upgraded) থাকার কোম্পানি সময়ে সময়ে কর্মীদের ল্যাপটপ বদল করে থাকে। কিন্তু অতীত দিনের তুলনায় বর্মতানে যে সমস্ত ল্যাপটপ (Laptop) বাজারে আসে, তার মেয়াদ অর্থাৎ লাইফস্প্যান (Lifespan) অনেক বেশি হয়, ফলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ল্যাপটপ বদলে দেওয়ার যে প্রথা চালু আছে, তাতে বদল আনা হবে। কেবল ইঞ্জিনিয়াররা ম্যাকবুক ল্যাপটপ পাবেন এবং বাদবাকিদের ভাগ্যে শ্রেফ ক্রোমবুক জুটবে।