আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস (World Food Day)। তার আগে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের (GHI) তালিকায় পাকিস্তান (Pakistan), বাংলাদেশ (Bangladesh), নেপাল (Nepal) এমনকী শ্রীলঙ্কার থেকেও পিছিয়ে গেল বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারত (India)। শুধু তাই নয়, আগের বছরগুলির তুলনায় আরও পিছিয়ে গিয়েছে ৫৬ ইঞ্চির মানচিত্র। এশীয় দেশগুলির মধ্যে কেবলমাত্র মুখরক্ষার খাতিরে আফগানিস্তানের থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত। ১২১টি দেশের মধ্যে আমাদের জনগণমন অধিনায়কের দেশ ১০৭ নম্বরে রয়েছে। যদিও এই ক্ষুধা সূচক প্রকাশ হওয়ার পরপরই লাফিয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ক্ষুধা সূচককে ভুল এবং মারাত্মক পদ্ধতিগত ইস্যু বলে ব্যাখ্যা করে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা করেছে নয়াদিল্লি।
২০২০ সালে এই সূচকে ভারতের স্থান ছিল ৯৪-এ। ২০২১-এ সেটা পিছিয়ে হয় ১০১। এবার সেটা আরও পিছনের দিকে এগিয়ে হয়েছে ১০৭। পয়েন্টের হিসেবে পেয়েছে ২৯.১। ভারতের ঠিক পিছনে এশীয় দেশের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান (১০৯)। এই সূচকে পাকিস্তান রয়েছে উপরের দিকে (৯৯), বাংলাদেশ (৮৪), নেপাল (৮১) এবং শ্রীলঙ্কা (৬৪)।
যদিও এই সূচককে ভারত সরকার মানতে চায়নি।
আরও পড়ুন: Prime Minister:বিচারাধীন বন্দিদের সমস্যা মেটান, আইন সম্মেলনে আর্জি মোদীর
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের (Union Ministry of Women and Child Development) পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সূচক অত্যন্ত পদ্ধতিগত এবং ভুলে ভরা। ভারতকে লাগাতার বিশ্বের সামনে অপদস্থ করার চেষ্টা বলেও মন্ত্রক জানিয়েছে। বলা হয়েছে, সূচকে আমাদের দেশকে এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যাতে মনে হয় এদেশের মানুষের জন্য খাদ্য সুরক্ষা ও পুষ্টি নিরাপত্তায় কিছু করাই হয় না।
স্মৃতি ইরানির মন্ত্রক আরও বলেছে, এই রিপোর্ট সম্পূর্ণরূপে একচোখো নীতিতে তৈরি হয়েছে। কেবলমাত্র অপুষ্টির পরিসংখ্যানেই ভারতকে পিছনে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ক্ষুধা সূচকের চারটি মাপকাঠির তিনটি প্রয়োগ করা হয়েছে। তাও জনসংখ্যার ভিত্তিতে তা বিচার করা হয়নি। যুক্তি বা তর্ক যাই থাক, বিশ্ব খাদ্য দিবসের আগে প্রকাশিত এই সূচকে দেশের খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে কেন্দ্রের যে দাবি তা নগ্ন হয়ে পড়েছে।