নয়াদিল্লি: ক্রিসমাস ও ইংরেজি নববর্ষের উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। তার মধ্যেই ফের করোনা-দৈত্যের রক্তচক্ষু। রাস্তাঘাটে খেটেখাওয়া মানুষের একটাই প্রশ্ন, আবার লকডাউন হবে না তো? অতীতে অভিজ্ঞতা থেকে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই সতর্ক পা ফেলতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সংসদের দুই কক্ষেই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। লোকসভায় তিনি বলেন, ক্রিসমাস ও বর্ষবরণ উৎসব সত্ত্বেও রাজ্যগুলিকে জেনম সিকোয়েন্সিং বাড়াতে হবে। উল্লেখ্য এদিন রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে মাস্ক পরে বসতে দেখা যায়।
লোকসভায় মাণ্ডব্য বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব়্যানডম আরটি-পিসিআর পরীক্ষা শুরু করেছি। ফের মহামারী হওয়া আটকাতে আমাদের সরকার প্রথম থেকেই বদ্ধপরিকর। রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে তিনি বলেন, উৎসব চালু হয়ে গেলেও শারীরিক দূরত্ববিধি, মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহারে জোর দিতে হবে। প্রত্যেক রাজ্যকে এ ব্যাপারে কঠোর নজর দিতে বলেছেন মাণ্ডব্য।
আরও পড়ুন: Omicron BF.7 Symptoms: বিএফ.৭ কী? উপসর্গ বুঝবেন কী করে? কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
এদিকে, করোনা সতর্কতায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA) এক নির্দেশিকা জারি করেছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে,
১। জনবহুল ও রাস্তাঘাটে মাস্ক পরতে হবে।
২। ভিড় এড়িয়ে চলা এবং পারস্পরিক দূরত্ববিধি মান্য করতে হবে।
৩। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
৪। রাজনৈতিক এবং সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকুন।
৫। বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।
৬। জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি, পেট খারাপের উপসর্গ থাকলে ডাক্তার দেখান।
৭। যত দ্রুত সম্ভব টিকা নিন।