দিনহাটা: মনোনয়ন ঘিরে এবার গুলি চলল কোচবিহারের দিনহাটায়। সেখানকার কুর্সিরহাট বাজারে মঙ্গলবার অন্তত চার রাউন্ড গুলি চলে। তবে কে বা কারা গুলি চালায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত তা পুলিশ জানাতে পারেনি। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই গুলি চলে। তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতা জানান, ওই এলাকায় বিরোধীদের কোনও অস্তিত্ব নেই। পুলিশ একজনকে সন্ধ্যায় আটক করে।
মঙ্গলবার ছিল পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশের চতুর্থ দিন। এদিনও মনোনয়ন ঘিরে রক্ত ঝরেছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। সব চেয়ে বড় ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। সেখানে আইএসএফ এবং বামেদের মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি চলে। তিন পুলিশকর্মী জখম হন। তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলামের গাড়িতে বোমা মেলে। তিনি ভাঙড়ের বিতর্কিত নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলে। গোলমাল থামাতে পুলিশ লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। স্থানীয়রা জানান, অন্তত ৬০টি বোমা ফেটেছে। এক সময় পুলিশকে দৌড়ে পালাতে দেখা যায়। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশ করতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল। আরাবুলের পাল্টা দাবি, গোলমাল করে আইএসএফ। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | পঞ্চায়েত ভোটার আগের আদ্যাপীঠে মুখ্যমন্ত্রী
এদিন গোলমাল হয় ক্যানিংয়েও। কয়েকশো কর্মী নিয়ে ব্লক অফিসে মনোনয়ন পেশ করতে আসেন বিজেপি প্রার্থীরা। স্লোগান দিতে দিতে ব্লক অফিসে ঢুকে পড়ে বিজেপির মিছিল। তারপরই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে মারামারি শুরু হয়। কলকাতা থেকে আসেন বিজেপির রাজ্য নেতা সজল ঘোষ এবং প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তাঁদেরও নিগৃহীত করা হয় বলে অভিযোগ। সজলের অভিযোগ, মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পুলিশ লাঠিচার্জ করে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনারই মন্দিরবাজার থানার ঝাঁপবেড়িয়ায় আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীরা গাড়িতে চেপে মন্দিরবাজার বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয়। পাল্টা আইএসএফও মারধর করে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ২০জন জখম হয়েছে। রাত পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা ছিল।