কলকাতা: যাদবপুর কাণ্ডে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। শুক্রবার কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে সৌরভ বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। র্যাগিং বন্ধ করার জন্য তাড়াতাড়ি আইন আনা দরকার।
গতকাল একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সৌরভ। সেখানে যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, পড়াশোনা করার জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়। সেটাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। র্যাগিং বন্ধে কড়া আইন করা উচিত। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। মহারাজ বলেছেন, সুস্থ পরিবেশ ছাড়া কখনও একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।
যাদবপুরকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ৯ জনকে। শুক্রবার আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২। নতুন যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা হলেন, শেখ নাসিম আখতার, হিংমাশু কর্মকার, সত্যব্রত রায়কে। এরমধ্যে নাসিম যাদবপুরের প্রাক্তনী বলে জানা গিয়েছে। রসায়নে স্নাতকোত্তর পাশ আউট। অন্যদিকে হিমাংশুর পড়াশোনা গণিত নিয়ে। সেও প্রাক্তনী। সত্যব্রত রায়ের পড়াশোনা চলছে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে। বর্তমানে সে চতুর্থবর্ষের ছাত্র বলে জানা যাচ্ছে। গতকাল এই তিনজনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই তিনজকে বারবার জেরা করা হলেও বারবার বয়ান বদল করছিল। তিনজনই অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীর খুব কাছের বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিটে পরীক্ষায় সফল আলিপুরদুয়ারের মেয়ে নিধি
এদিকে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগনোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন এসএফআই নেতারা। তাঁদের বক্তব্য সিসিটিভি লাগিয়ে কোনও লাভ হবে না। ক্যামেরা লাগালোর অর্থ হল ছাত্রীদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। বামেদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে অতি-বাম স্বাধীন ছাত্রর সংগঠনগুলিও সিসিটিভি লাগানোর বিরোধিতা করেছে। বৃহস্পতিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহামঞ্জু বসু সাত দফা নির্দেশিকা জারি করেন। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু এলাকায় রাত ৮টা থেকেসকাল ৭টা পর্যন্ত সিসিটিভির নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে।