মাঝরাতে দিল্লি (delhi) ও তার আশেপাশে জোরালো ভূমিকম্প অনুভূত হল। রাজধানী ছাড়াও নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম-সহ আশেপাশের এলাকায় মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ বাড়ি ছেড়ে আতঙ্কে অনেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। মাঝরাতে ঘুম থেকে আচমকা উঠে বহুতলগুলি থেকে নীচে নামার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। উত্তরাখন্ড, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রায় ১০ সেকেন্ড ওই কম্পন চলে। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপাল। সেখানে কম্পনের তীব্রতায় বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হল ৬ জনের।
বুধবার সকাল পর্যন্ত ভারতে ক্ষয়ক্ষতির কোনও তথ্য মেলেনি। টুইটারে ফরিদাবাদের এক বাসিন্দা লিখেছেন, আমার জীবনে এরকম ভূমিকম্প দেখিনি। মনে হচ্ছিল খাট ধরে কেউ এদিক-ওদিক টান দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। লক্ষ্ণৌতে দেখা গিয়েছে মাঝরাতে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন বাসিন্দারা। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রাত ১টা ৫৭ মিনিটে ওই ভূমিকম্প হয়। ভারতে রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। নেপালে (nepal) ভূকম্পনের (earthquake) মাত্রা ছিল ৬.৩।
আরও পড়ুন: এটা যুদ্ধের সময় নয়, রাশিয়াকে ফের মনে করিয়ে দিলেন জয়শঙ্কর
নেপালে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও অন্তত ১২টি বাড়ি। উদ্ধারে নেমেছে সেনাও। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির হিসেব অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল (epicentre) ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার (10 km depth) গভীরে। উত্তরাখন্ডের পিথোরোগারের ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে নেপালে এর কেন্দ্রস্থল। এর ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় দু’বার ভূমিকম্প হল নেপালে। মঙ্গলবার সকালে নেপালে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৫। সেটির কেন্দ্রস্থল ছিল কাঠমান্ডু থেকে ১৫৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে মাটির ১০০ কিমি নীচে।
সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, নেপালে দোটি জেলায় বাড়ি ভেঙে ওই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।