নয়াদিল্লি: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Delhi Deputy Chief Minister Manish Sisodia) তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সিবিআইয়ের (CBI) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হচ্ছেন। আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৩টে ৫০ মিনিটে তাঁর আবেদন গ্রহণে রাজি হয়েছে শীর্ষ আদালত। আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Excise Policy Case) আম আদমি পার্টির (AAP) নেতা মণীশ সিসোদিয়াকে ৪ মার্চ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত (CBI Custody) রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অবস্থায় দিল্লি সরকারের বাজেট পেশ করতে পারেন পরিবহণ ও রাজস্বমন্ত্রী কৈলাস গেহলট। বাজেট প্রস্তাব প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে।
সোমবার সিসোদিয়াকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে আপ কালাদিবস (Blackday) পালন করে। রাজধানীর বিজেপি সদর কার্যালয়ের (BJP Headquarter) সামনে বিক্ষোভের সময় আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে আপ কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়। অনেক আপ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিক্ষোভকারী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিও চালায় বাহিনী। প্রায় শ’খানেক আপ বিক্ষোভকারীকে বিজেপির সদর দফতর দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ থেকে আটক করে বিভিন্ন জেলার থানায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: TMC Twitter Account Hacked: তৃণমূলের টুইটার অ্যাকাউন্টে হ্যাকার-হানা, বদলে গেল নাম ও ছবি
এর আগে আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, আমি বলছি সিবিআইয়ের অনেক অফিসারই মণীশের গ্রেফতারি বিরুদ্ধে ছিলেন। সিসোদিয়াকে সিবিআই অফিসাররা বিরাট সম্মান করেন। কিন্তু, তাঁদের উপর ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। ফলে তাঁরা চাপের মুখেই গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছেন।
আপ অভিযোগ তুলেছে, বিজেপি যে পরিস্থিতি গড়ে তুলছে তা জরুরি অবস্থার (Emergency) শামিল। রবিবার থেকে এ পর্যন্ত তাদের ৮০ শতাংশ নেতাকে আটক করে রেখেছে পুলিশ। এটা গণতন্ত্র নাকি অন্য কিছু। ২৪ ঘণ্টার বেশি কী করে আটক করে রাখা যায় কাউকে, প্রশ্ন তুলেছে আপ।
প্রসঙ্গত, রবিবার সিবিআই-এর (CBI) হাতে গ্রেফতার হন দিল্লির (Delhi) উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। আবগারি (Liquor Policy) দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। এই মামলায় বেশ কয়েকবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। একাধিবার জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। রবিবার নয় ঘণ্টার ম্যারাথন জেরার পর পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। গ্রেফতার যে হবেন তা হয়তো জানতেন সিসোদিয়া। তিনি বলেছিলেন, সাত-আট মাস জেল খাটার জন্য তিনি প্রস্তুত।
সিবিআই জানিয়েছে, তদন্ত অসহযোগিতার জন্যই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কোনও প্রশ্নের সোজা উত্তর দিতে চাইছিলেন না। অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। কখনও বলেছেন, মনে করতে পারছেন না। যাই হোক, তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে সোমবার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীতে। তাই সকাল থেকেই পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছিল দিল্লির বিভিন্ন রাস্তা।