আসন্ন নতুন বছরের প্রথম দিনে ইউরো জোনে প্রবেশ করতে চলেছে ক্রোয়েশিয়া (Croatia)। এরই অঙ্গ হিসেবে ক্রোয়েশিয়া ইউরোতে বাজেট পেশ করল। ক্রোয়েশিয়া ইউরো জোনে প্রবেশের সিদ্ধান্ত কেন নিল এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ক্রোয়েশিয়ার অর্থমন্ত্রী (Finance Minister) বলেছেন, ইউরো চালু হলে দেশ নানা দিক থেকে লাভবান হবে। ক্রোয়েশিয়ার অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। এছাড়া নতুন নতুন বিনিয়োগও (investmest) টানা যাবে। প্রসঙ্গত, ইউরো (euro) জোনে প্রবেশ করলে ইউরো জোনের অন্তর্গত দেশের সংখ্যা দাঁড়াবে ২০। বর্তমানে ইউরো জোনের অন্তর্গত দেশ ১৯টি।
ক্রোয়েশিয়ার পার্লামেন্টের ১৫১জন সদস্যের মধ্যে ৫০জন ইউরোতে বাজেট পেশের বিরোধিতা করেছেন। তবে পার্লামেন্টের (parliament) সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যই ইউরো বাজেটের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: China Warned US: ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনও হস্তক্ষেপ নয়, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি চীনের
ক্রোয়েশিয়া সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালে সেদেশের অর্থনীতি ০.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। প্রসঙ্গত, ক্রোয়েশিয়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (eu) অন্তর্গত দেশ ২০১৩ সাল থেকেই।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থমন্ত্রীরা জানিয়েছেন, ক্রোয়েশিয়াকে (Croatia) ইউরো জোনের ২০তম দেশের অন্তর্গত করতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কোনও আপত্তি নেই।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্রোয়েশিয়ার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রেজ প্লেনকোভিক বলেছেন, ইউরো জোনে প্রবেশ করার ফলে ক্রোয়েশিয়ার অর্থনীতির ভারসাম্যে ফিরে আসবে। প্রসঙ্গত, ইউরোতে বাজেট পেশ করার ফলে ২০২৩ সালে রাজস্ব বাবদ আদায় হবে ২৪.৯ মিলিয়ন ইউরো। ২০২২ সালের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায় হবে।