ক্যানিং: মনোনয়ন (Nomination) ঘিরে সকাল থেকে উত্তপ্ত ক্যানিং (Canning)। ভোটের টিকিট বিলি নিয়ে শাসকদেলর মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং (Canning of South 24 Parganas)। জানা গিয়েছে, শাকসদলের এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে স্বজনপোষনের অভিযোগ। প্রতিবাদে অন্যগোষ্ঠী রাস্তা অবরোধ করে। এর থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নামে পুলিশ বাহিনী। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা। ঘটনায় আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। এই ঘটনার প্রসঙ্গে কলকাতার এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী (Snehasis Chakraborty) বলেন, এত বড় তাই কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই।
সকাল থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং। জানা গিয়েছে, এলাকার ব্লক সভাপতি এবং স্থানীয় বিধায়কের গোষ্ঠীর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে বুধবার ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এই আবহে ক্যানিং শহরে সিপিএমের একটা অফিসেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বাসন্তী হাইওয়েতে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি এবং গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে সুনীল হালদার নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে ক্যানিংয়ের ঘাসফুল শিবিরের একাংশের দাবি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সংঘর্ষে। ক্যানিংয়ের এসডিপিও-সহ কয়েক জন পুলিশ কর্মীও ওই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন।
আরও পড়ুন: Nawsad Siddique | মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত, সময় দিতে পারেননি, নবান্নে এসে বললেন নওশাদ
মনোনয়নকে জমাকে দিতে গেলে তাদের বাধা দেয় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাসের অনুগামীরা। অভিযোগ তৃণণূলের সভাপতির শৈবাল লাহিড়ীর। যদিও শৈবালের তোলা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরেশরাম।ক্যানিং হাসপাতাল মোড় এলাকায় তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। শুরু হয় দু’দলের মধ্যে ইটবৃষ্টি। তাদের মধ্যে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। গুলিও চলেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ। দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। কিছু পরে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।তবে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।