নয়াদিল্লি ও ইম্ফল: সকাল থেকে ঘণ্টা তিনেকের ছাড় দেওয়ার পর মণিপুরের (Manipur) চূড়াচন্দ্রপুরে ফের চালু হল কার্ফু। প্রায় ২৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor) রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন (President’s Rule) জারি করার ডাক দিয়েছেন। রবিবার এক টুইটে (Tweet) তিনি লেখেন, উত্তর-পূর্বের ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যে অশান্তির জন্য বিজেপি (BJP) দায়ী। তাঁর মতে, মাত্র একবছর আগে ক্ষমতায় আসা বিজেপি রাজ্যের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। মণিপুরে যেভাবে হিংসাত্মক ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে এই মুহূর্তে রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা উচিত। যে জন্য সরকার নির্বাচিত করা হয়, রাজ্য মানুষের সেই আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: Manipur | বিজেপি শাসিত মণিপুরে সাহায্যের হাত মমতার
এদিকে, মণিপুর ট্রাইবাল ফোরাম (Manipur Tribal Forum) হিংসাত্মক ঘটনার পিছনে বিজেপির সমর্থন রয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করেছে। আবেদনে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে ঘরছাড়া মণিপুরি আদিবাসীদের ঘরে ফেরানোর নির্দেশ দিক। কয়েক হাজার আদিবাসী এখন সিআরপিএফ (CRPF) এবং সেনা (Indian Army) শিবিরে দিন গুজরান করছে। নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের ঘরে ফেরানোর আর্জি জানানো হয়েছে। জনস্বার্থ মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে যে, আদিবাসীদের উপর হামলা চলছে, তাতে পূর্ণ মদত আছে শাসকদল বিজেপির। আবেদনে দাবি, এখনও পর্যন্ত আদিবাসী মৃত্যু ও জখমদের তরফে কোনও এফআইআর গ্রহণ করেনি রাজ্যের পুলিশ। পুলিশও শাসকদলের পক্ষাবলম্বন করছে। আবেদনকারীর তরফে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের দাবি জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের কাছে।
অন্যদিকে, রবিবার হতে চলা নিট ইউজি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এদিন সারা দেশে এই পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু, পরিস্থিতি থমথমে থাকায় ও কার্ফু চলায় মণিপুরে এই পরীক্ষা আপাতত বন্ধ। পরবর্তী দিন ঘোষণা করবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। অগ্নিগর্ভ মণিপুর থেকে বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা ও পড়ুয়াদের উদ্ধারকাজ চলছে জোরকদমে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা নিজে উদ্ধারকাজ তদারকি করছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৮৩ জন ছাত্রকে বিমানে মণিপুর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মিজোরামের আইনমন্ত্রী এদিনই মণিপুরের অশান্ত এলাকাগুলি দেখতে যেতে পারেন। কয়েকশো মিজো মণিপুরে আটকে পড়েছেন। নাগাল্যান্ড সরকার নিজ রাজ্যের বাসিন্দাদের উদ্ধারে ২২টি বাসের ব্যবস্থা করেছে। প্রায় ৬০০ নাগা বাসিন্দা এখন সে রাজ্যে রয়েছেন বলে সূত্রে খবর।