কলকাতা: অনৈতিক জোট, হারের জন্য কাউকে দোষ দেব না, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (Sagardighi By Election 2023) তৃণমূলের হারের পর এমনই প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার নবান্নের সভাঘর থেকে মমতা বলেন, তৃণমূলকে উৎখাত করতে বিরোধীদের জোটবদ্ধ হতেই হবে। বাম-কংগ্রেস-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইেয়র জন্য তৃণমূল একাই যথেষ্ট। এই পরাজয় থেকে শিক্ষা নেবে তৃণমূল। সাধারণত উপনির্বাচনে জয় হয় শাসকদলেরই। কিন্তু এদিনের এই পরাজয় আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে অনেকটাই প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০২১ সালে বিপুল শক্তি নিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম কোনও উপনির্বাচনে হার তৃণমূলের। তাও আবার রাজ্য বিধানসভায় শূন্য কংগ্রেসের কাছে।
এদিন গণনার প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়েছিলেন সাগরদিঘির কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। গণনা শেষে প্রায় ২৩ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী। সেখানেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলার এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহা জয়ী হয়েছিলেন ৫০ হাজারের বেশি ভোটে। তাঁর অকাল প্রয়াণে এই উপনির্বাচন। মাত্র ২১ মাসের ব্যবধানে এদিন ২৩ হাজারেরও বেশি ভোটে হারল শাসকদল।
আরও পড়ুন:Anubrata Mondal: অবশেষে অনুব্রতকে দিল্লিতে নেওয়ার অনুমতি পেল ইডি
রাজনৈতিক মহলের মতে, সংখ্যালঘু ভোট এই নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। এই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ৬৪ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। কিন্তু গত ১ মাস ধরে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে জেলে রাখাও এই ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন অনেকে। একইসঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে আবাস যোজনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারটিও ভালোভাবে নেয়নি সাগরদিঘির মানুষ। পর পর তিন বারের জেতা আসন হাতছাড়া হওয়ায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। যদিও এই হারের থেকে শিক্ষা নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে তৃণমূল, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।