কলকাতা: এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (HS Exam) ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম শুরু করছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (West Bengal Council of Higher Secondary Education)। ১৪ মার্চ, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondar Exam 2023)। বোর্ডের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে প্রথম পরীক্ষার দিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। অর্থাৎ পরীক্ষার প্রথম দিন পরীক্ষার্থীদেরকে (HS Candidate) নিজের নিজের কেন্দ্রে সকাল নটার মধ্যে পৌঁছতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে পর্যন্ত পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্র জমা দিতে বা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরোতে পারবে না। যার অর্থ পরীক্ষার্থীরা কোনওভাবেই ১২টা ৪৫ মিনিটের আগে তাদের উত্তরপত্র জমা দিতে পারবে না। একইসঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্র ছেড়ে বেরোতে পারবে না পড়ুয়ারা। এর পাশাপাশি আরও একটি নিয়ম হল, পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা চলাকালীন প্রথম এক ঘণ্টায় টয়লেটে যেতে পারবে না। মূলত প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া আটকানোর জন্যই সংসদের পক্ষ থেকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে ১৪ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondar Exam)। মাধ্যমিকে কমলেও উচ্চ মাধ্যমিকে বাড়ল এক লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা (HS Candidate) ৮ লক্ষ ৫২ হাজার। গত বছর পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার। গতবারের তুলনায় এক লক্ষ ১০ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়েছে বলে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (West Bengal Council of Higher Secondary Education)। আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে উচ্চ মাধ্যমিক (HS Exam 2023) ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: Parliament’s Budget Session 2023 | রাহুলকে ‘ক্ষমা’ চাইতে হবে, বিজেপির দাবিতে উত্তাল সংসদ, মুলতুবি
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে আরও জানা গিয়েছে, পরীক্ষা্থীদের মধ্যএ ৪২.৫ শতাংশ ছাত্র ও ৫৭.৪৩ শতাংশ ছাত্রী রয়েছে। এ বছর ছাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। ছাত্রদের তুলনায় এক লক্ষ ২৭ হাজার ছাত্রী বেশি এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে। ২ হাজার ৩৪৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ২০৬টি পরীক্ষাকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর চিহ্নিত করা হয়েছে। মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে মোবাইল ফোন অন্যান্য ইলেকট্রনিক গেজেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সংসদের তরফে।
এছাড়াও সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। পাশাপাশি এই প্রথম পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর বা আরএডি ব্যবহার করা হবে। শুধু ২০৬টি অতি স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রেই নয়, তার থেকে আরও বেশি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই ব্যবস্থা করা হবে। ভেনু সুপারভাইজারের কাছে ফরমেট দেওয়া থাকবে। সেই ফরমেটের সই করে প্রশ্নপত্র পরীক্ষক নিয়ে যাবেন। শিক্ষক নিজে চেক করে দেখবেন, পরীক্ষার্থীর কাছে কোনও মোবাইল বা ইলেকট্রনিক্স গেজেট আছে কি না। থাকছেন ১৪০০ জন হেড এগজামিনার। পরীক্ষকের সংখ্যা ৫৫ হাজার। পরীক্ষার্থীরা যেন কোনও গুজবে কান না দেয়, সে বিষয়ে সতর্ক করেন সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার সময় সিসিটিভি ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংসদের তরফে।