সৈফই শহরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল মুলায়ম সিং যাদবের। উত্তরপ্রদেশের এটাওয়া জেলার এই শহরেই এক কৃষক পরিবারে জন্মেছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ দেশের তাবড় রাজনৈতিক নেতারা। শেষ শ্রদ্ধা জানালেন তাঁরা। শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মুলায়মের বাসভবন থেকে শ্মশান পর্যন্ত মিছিল করে আসা হাজার হাজার অনুগামী। শববাহী গাড়ি যখন প্রিয় নেতাকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে, আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠল তাঁদের ‘নেতাজি অমর রহে’ স্লোগানে।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর শেষকৃত্যে হাজির হয়েছিলেন বর্তমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ ছিল, ভারতীয় রাজনীতিতে বড়মাপের ব্যক্তিত্ব ছিলেন মুলায়ম সিং যাদব। দেশের জন্য এটা বড় ক্ষতি। আমরা সবাই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী আসতে না পারলেও তাঁর হয়ে শ্রদ্ধা জানাতে বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: TET recruitment: প্রাথমিকে বছরে অন্তত দু’বার শিক্ষক নিয়োগ এবং একবার পরীক্ষা, জানালেন পর্ষদ সভাপতি
এদিন উপস্থিত ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা কমলনাথ, অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি নেতা এন চন্দ্রবাবু নাইডু। উত্তরপ্রদেশের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক এবং কেশব মৌর্যও মুলায়মের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাঁরা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুলায়মের বাসভবনে যেখানে কাল সন্ধে থেকে শায়িত ছিল মরদেহ। এছাড়াও এসেছিলেন তেলঙ্গানা এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী যথাক্রমে কে চন্দ্রশেখর রাও এবং ভূপেশ বাঘেল।
মুলায়ম সিং যাদবের সঙ্গে বহুদিনের ঘনিষ্ঠতা ছিল অমিতাভ বচ্চনের। তিনি না এলেও উপস্থিত ছিলেন ছেলে অভিষেক। আগামী তিন দিন উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রীয় শোকপালন হবে বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জীবনাবসান হয় বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতার। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। বছর দুয়েক ধরেই অসুস্থ ছিলেন মুলায়ম। মহাসপ্তমীর (২ অক্টোবর) সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রাখতে হয় আইসিইউ-তেও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সপ্তাহটা কাটার পর রবিবার (৯ অক্টোবর) কিছুটা উন্নতি হয় শরীরের। কিন্তু সোমবার অক্সিজেন স্তর অনেকটাই কমে যায় মুলায়মের। তিন ঘণ্টা অতিরিক্ত অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়েও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। ঘটে যায় ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম নক্ষত্রপতন।