কলকাতা: ‘ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের (Bhawanipore By election) প্রথম থেকেই পুলিশ (Police) অসহযোগিতা করেছে৷ বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার,অর্জুন সিংহ,দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে৷ সাধারণ ভোটাররা ভয়ে আছেন৷ আইন শৃঙ্খলার বলতে কিছুই নেই…৷’ সোমবার সন্ধেয় নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) এই অভিযোগ করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷ একই সঙ্গে তাঁরা কমিশনে দাবি করে, এই পরিস্থিতিতে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা (Section 144) জারি করা হোক৷ যা ভোট পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে৷
দাবির সমর্থনে বিজেপি কারণ দেখিয়েছে যে , অর্জুন সিংহের উপর হামলার পরই দিলীপ ঘোষের উপর হামলা চালানো হয়৷ ভোটের আগে ভবানীপুরে আতঙ্কের পরিবেশ ছড়াতেই এই হামলার ঘটনা৷ ঘটনার সময় কলকাতা পুলিশের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়নি। তাই, ভোটারদের মনবল বাড়াতে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভবানীপুর কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করা হোক৷ বুথের ভিতরে-বাইরে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। বুথের ভিতরে পর্যাপ্ত সিসিটিভির ব্যবস্থাও রাখা হোক৷ তবেই, ভবানীপুরে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন সম্ভব।
আরও পড়ুন-‘ভারত বনধে’ হৃদরোগে মৃত্যু কৃষকের, অবরুদ্ধ দিল্লিগামী রেল-সড়ক পথ, দেখুন ছবিতে
যদুবাবুর বাজারে পরিকল্পনামাফিক হামলা চালানো হয়েছিল। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। সোমবার সকালে ভবানীপুরে বিজেপির প্রচারে উত্তেজনার ঘটনায় এই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এ দিন প্রচারের শেষ দিনে যদুবাবুর বাজারে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপ। সেই সময় আচমকা বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। যা ক্রমে হাতাহাতির রূপ নেয়। এই প্রসঙ্গে দিলীপ টুইটে প্রশ্ন তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এলাকায় যদি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আক্রান্ত হন, তাহলে বাংলার সাধারণ মানুষের জীবন কতটা সুরক্ষিত?