নয়াদিল্লি: একদিকে যখন সংসদে (Parliament) বিরোধীদের সাসপেন্ড করল বিজেপি (BJP) সরকার, তখন অন্যদিকে দিল্লি বিধানসভায় (Delhi Assembly) সোমবারই বিজেপি বিধায়কদের মার্শাল ডেকে বের করল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (CM Arvind Kejriwal) সরকার।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিরোধী দল বিজেপি একটি দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব আনতে চায়। বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন, গলি গলি মে শোর হ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল চোর হ্যায়। অব তো ইয়ে স্পষ্ট হ্যায়, কেজরিওয়াল ভ্রষ্ট হ্যায়।
আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ল
হই-হট্টগোলে বিজেপির সঙ্গে ইন্ডিয়া জোট (INDIA Allaince) শরিক কংগ্রেস (Congress) বিধায়করাও যোগ দেন। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা। মার্শাল ডেকে বের করে দেওয়ার পর বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা চত্বরে গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভও দেখান।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির রামবীর সিং বিধুরির অভিযোগ, কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘রাজমহল’এর সংস্কারে ৪৫ কোটি টাকা খরচ করেছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ৬ ফ্ল্যাগস্টাফ রোডস্থিত বাসভবন সৌন্দর্যায়নে কোনও নিয়মনীতি না মেনে ওই টাকা খরচ করা হয়েছে। বিধুরি আরও বলেন, সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কোনও নকশা অনুমোদন করা হয়নি। টেন্ডারও ডাকা হয়নি। নির্দিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই বেপরোয়া গাছ কাটা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তাঁদের দুই বিধায়ক দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব পেশ করলেও দিল্লি সরকার কোনও জবাব দেয়নি। শুধু তাই নয়, আম আদমি পার্টি দুর্নীতি নিয়ে কোনও জবাব দিতেই রাজি নয়। আমাদের প্রশ্ন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেন আলোচনা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন? যদি সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে থাকে, কোনও দুর্নীতি না থাকে, তাহলে আলোচনায় দোষ কোথায়!
বিজেপির দাবি নাকচ করে দেন স্পিকার রামনিবাস গোয়েল। আর তাতেই ক্ষিপ্ত বিজেপি বিধায়করা হইচই শুরু করেন। তখন বিধুরিসহ ৮ বিজেপি বিধায়ককে মার্শাল ডেকে সভাকক্ষ থেকে বের করে দেন স্পিকার। উল্লেখ্য, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের আগের দিন কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব হয় সভায়।
অন্য় খবর দেখুন