কলকাতা: নিরাপত্তারক্ষীর রহস্যজনক মৃত্যু মামলায় সোমবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে(Suvendu Adhikari) ডেকে পাঠাল সিআইডি৷ সূত্রের খবর, শনিবার এ বিষয়ে সমন পাঠানো হয়েছে৷
সোমবার সকাল এগারোটার সময় ভবানী ভবনে হাজিরার জন্য তলব করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। এএসআই শুভব্রত চক্রবর্তী খুনের ঘটনায় তলব শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে, কাল তিনি হাজিরা দেবেন কিনা এখনও তা পরিষ্কার নয়।
শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি (CID)৷ চার সদস্যের সিআইডি দল নিহত রক্ষীর মহিষাদলের বাড়িতে যায়৷ আধঘণ্টারও বেশি সময় তাঁরা কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে৷ সেখান থেকে তদন্তকারী দল চলে যায় কাঁথি থানায়৷ তবে তদন্তের স্বার্থে সিআইডির আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি৷
অন্যদিকে ওইদিনের ঘটনার পর শুভব্রত চক্রবর্তীকে হাসপাতালে এসআই হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর সহকর্মী। সেই সময় মৃত জবানবন্দি দিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে সেই এসআইয়ের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই ওই সংশ্লিষ্ট সহকর্মীর সঙ্গে একাধিকবার সিআইডির কর্তারা কথা কথা বলেছেন।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে মারা যান শুভব্রত চক্রবর্তী৷ সেই সময় রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁরই নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন শুভব্রত৷ মৃতের স্ত্রী সুপর্ণা জানান, ১৪ অক্টোবর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর স্বামীর৷ শুভব্রতর শরীরে গুলি লেগেছিল৷ কিন্তু কী করে তিনি গুলিবিদ্ধ হন সেটা সুপর্ণা বা পরিবারের কারও কাছে আজও স্পষ্ট নয়৷ সেই ঘটনার আড়াই বছর পর ৭ জুলাই কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুপর্ণা৷ নিহতের স্ত্রীর দাবি, শুভেন্দু অধিকারী তখন রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন৷ তাই তখন তিনি ভয়ে মুখ খোলেননি৷ এখন পরিস্থিতি আলাদা৷ শুভেন্দু অধিকারীর দাপট অনেকটাই কমেছে৷ তাই এখন তিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর বিচার চান৷
আরও পড়ুন-বিচার ব্যবস্থার কর্পোরেটাইজেশন করতে চান প্রধান বিচারপতি
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ৬-৭ বছর শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করেছেন৷ তখন স্বামীর সঙ্গে কাঁথিতেই থাকতাম৷ আমাদের দুই সন্তান আছে৷ ঘটনার দিন প্রতিদিনের মতো সকালে কাজে বেরিয়ে যান শুভব্রত৷ পরে জানতে পারি, আমার স্বামী হাসপাতালে ভর্তি৷ খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়ই৷ সেখানে গিয়ে জানতে পারি শুভব্রত-র গুলি লেগেছে৷ শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়৷’ অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স আসতে অনেক দেরি করে৷ এমনকী কলকাতায় নিয়ে আসার পরেও হাসপাতালে কোনও চিকিৎসায় হয়নি শুভব্রতর৷ সুপর্ণার প্রশ্ন, রাজ্যের মন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও কেন অ্যাম্বুল্যান্স দেরিতে এল? কেন হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়েছিল শুভব্রতকে?