কলকাতা: ভবানীপুর (Bhabwanipore) উপ-নির্বাচনের প্রচারের প্রথম দিন থেকেই বিজেপিকে বাধা দেওয়া হয়েছে৷ প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অর্জুন সিং সহ প্রত্যেকের প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে৷ আজ সোমবার যদুবাবুর বাজারে পরিকল্পনামাফিক হামলা চালানো হয়েছিল। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। সোমবার সকালে ভবানীপুরে বিজেপির প্রচারে উত্তেজনার ঘটনায় এই মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভবানীপুরে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই বলেও তাঁর দাবি৷ এরকম পরিস্থিতিতে ভবানীপুরের মানুষ ভোট দিতে বের হতে পারবেন না বলে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি৷ তাই, অবিলম্বে ভবানীপুরের নির্বাচন বন্ধ রাখার আবেদন জানাবে রাজ্য বিজেপি৷ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন দিলীপ ঘোষ৷
এ দিকে উপ-নির্বাচনের প্রচারে গোলমাল নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন৷ সোমবার বিকেল চারটের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা৷ সোমবার সকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রচার ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় ভবানীপুরে। যদুবাবুর বাজারে প্রচারের সময় আচমকা বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ক্রমে তা ধাক্কাধাক্কির আকার নেয়। বিজেপির দাবি, তাঁদের এক কর্মীর মাথা ফেটেছে। এই ঘটনার বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন৷
আরও পড়ুন-লকেট কি তৃণমূলে? হুগলির সাংসদের সঙ্গে টুইটযুদ্ধ কুণালের
ঘটনার বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করছি তাতে ভয় পাওয়ার কী আছে? টেনশন নেওয়ার কী আছে? আপনি মাঠেও আটকাতে পারবেন না, ভোটেও পারবেন না। তৃণমূলের দাবি, এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। দিলীপের নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখান বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন-একই রাজ্যে পৃথক নিয়ম, ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের রাজনৈতিক সভা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের
তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি নেতারা সেলফ ইম্পর্টেন্সি ক্রিয়েটর। বিজেপি খায় না মাথায় দেয়? এদের কোনও গুরুত্বই নেই৷ তাই এরা কী বলল, কী করল, সেই নিয়ে কারও কোনও মাথা ব্যাথাও নেই। সারাদিন ভবানীপুর এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে শুধু মিথ্যাচার করে চলেছে, সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলে চলেছে৷ মানুষ এদের ওপর বীতশ্রদ্ধ। তাই অনেক জায়গায় মানুষ, এদের এই বিভাজনের রাজনীতি ও মিথ্যাচার সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করে ফেলছে।