বীরভূম: ইলামবাজারে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্র সালাউদ্দিনকে অপহরণ করে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হল। মূল অভিযুক্ত শেখ সলমনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে কীভাবে খুন করা হয়েছে তার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। এদিন ইলামবাজার থানার পুলিশ ধৃত শেখ সলমনকে নিয়ে ইলামবাজার থানার চৌপাহাড়ি জঙ্গলে যায়। কীভাবে সলমন বন্ধু সালাউদ্দিনকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে খুন করে তা সশরীরে করে দেখায় পুলিশকে।
শনিবার মধ্যরাত্রে বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের চৌপাহাড়ি জঙ্গলে দুই বন্ধু সলমন ও সালাউদ্দিন ইলামবাজার জঙ্গলে যায়। সেখানেই সালাউদ্দিনকে প্রচুর পরিমাণে মদ খাইয়ে অজ্ঞান করে সলমন। এরপর সালাউদ্দিনের মোবাইল থেকে তার বাবাকে ফোন করে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায়। মুক্তিপণ না দেওয়ায় সালাউদ্দিনের গলার নলি কেটে খুন করে সলমন। এদিন পুলিশের পুনর্নির্মাণ চলাকালীন স্বীকারোক্তি দেয় সলমন। আজ, সোমবার তাকে বোলপুর আদালতে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: Menaka Gambhir: মাঝরাতে ইডি দফতরে অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর, নোটিসে সময়ের ভুল!
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সালাউদ্দিনের বাড়ি বীরভূমের খয়রাশোল থানার আহমদপুর গ্রামে। বর্তমানে মল্লারপুরে ব্যবসায়িক কাজের জন্য থাকতেন। ছাত্রের বাবা সৈয়দ আব্দুল মতিন জানান, ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে অপহরণকারীরা ফোন করেছিল। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য খুন হওয়া ছাত্রের বন্ধু শেখ সলমনকে প্রথমে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপর তার বক্তব্যে অসংলগ্নতা ধরা পড়ায় গ্রেফতার করা হয় তাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের ঋণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গন্ডগোল বাধে। সেই কারণেই সৈয়দ সালাউদ্দিনকে খুন করে শেখ সলমন। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানান, সলমন ৫% সুদে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার লোন নিয়েছিল বাজার থেকে। সেই টাকা শোধ করতে পারছিল না। তাই সৈয়দ সালাউদ্দিনকে অপহরণ করেছিল। ভেবেছিল অপহরণ করে ওই পরিবারের কাছ থেকে টাকাটা তুলে নেবে। টাকা না দিতে পারায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র সৈয়দ সালাউদ্দিনকে খুন করে তার বন্ধু সলমন শেখ।