বেঙ্গালুরু: ভোটমুখী কর্নাটকে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার (Karnataka Government)। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের(Basavaraj Bommai) ক্যাবিনেট বড় বদল আনল। সরকার রাজ্যের সংরক্ষণ কোটায় কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করেছে।মন্ত্রিসভার বৈঠকে কর্নাটকে আসন সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫৬ শতাংশ করা হল। মুসলমানদের জন্য ৪ শতাংশ বরাদ্দ তুলে নিলেন। যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ এই সিদ্ধান্তের ফলে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি হিসেবে সংরক্ষণ( Muslim Quota) আর পাবেন না মুসলিমরা।
টিপু সুলতান সাভাকর ইস্যু পর ধর্মীয় মেরুকরণকে ফের নিশানা বিজেপির। শুক্রবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসরাজ বম্মাই (Karnataka Chief Minister Basraj Bommai) মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণ প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন।বিরোধীদের অভিযোগ, নির্বাচনে একমাস বাকি থাকতে এই ঘোষণা আসলে বিজেপির(BJP) হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিরই(Hindutva politics) প্রমাণ।
এবার থেকে আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য যে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকে, সেই সংরক্ষণের অধীনেই রাজ্যের মুসলিমরা সংরক্ষণ (Muslim Quota) পাবেন। মুসলমানদের এখন EWS কোটার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে, যেখানে ব্রাহ্মণ, বৈস্য, মুদালিয়ার, জৈন এবং অন্যান্য রয়েছে। রদবদলের পর ভোক্কালিগাদের (Vokkaliga) জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। পঞ্চমশালী, বীরশৈব এবং লিঙ্গায়তদের ক্ষেত্রেও ৫ থেকে সংরক্ষণের হার বেড়ে হয়েছে ৭ শতাংশ। এছাড়াও, কর্ণাটক সরকার তফসিলি জাতি(এসসি) এর জন্য সংরক্ষণ ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ এবং তফসিলি উপজাতি (এসটি) ৩থেকে ৭ শতাংশ বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:DA Increased |সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা কেন্দ্রের
তবে বাসবরাজের এই ঘোষণার পর কর্নাটকে সংরক্ষণের হার ৫৭ শতাংশে গিয়ে ঠেকল। সুপ্রিম কোর্ট যদিও তা ৫০ শতাংশে বেঁধে দিয়েছিল। বাসবরাজের কথায়, “গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। মন্ত্রিসভার শাখা কমিটি সংরক্ষণের বিভাগে পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছিল। আমরা সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবার থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি দুই ভাগে বিভক্ত করা হবে। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকে আপাতত অনগ্রসর শ্রেণি এবং আরও অনগ্রসর শ্রেণি, এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ শতকে মহীশূরের শাসক টিপু সুলতানের ‘হত্যাকারী’ নিয়ে কর্নাটকে নির্বাচনের আগে নতুন বাজার গরম করছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, ব্রিটিশ বা মরাঠিরা টিপু সুলতানকে হত্যা করেনি। বরং টিপু সুলতানের হত্যাকারী কর্নাটকের ভোগ্গালিকা সম্প্রদায়ের দুই নেতা। সে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধি ভোগ্গালিকা সম্প্রদায়ের নেতা ভিডি সাভারকরের সঙ্গে টিপু সুলতানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। এর পর শোভা করন্ডলাজের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও একই দাবি করেন। আর তা নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক।