রাজ্যে গঙ্গা, পদ্মার ভাঙন রোধ, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, কেলেঘাই, কপালেশ্বরী প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সহায়তার দাবিতে বিধানসভায় প্রস্তাব নেওয়া হল। মঙ্গলবার ঠিক হয়েছে, এই দাবিতে রাজ্য বিধানসভার এক সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল (all party delegations) দিল্লিতে যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের (Centre) সঙ্গে কথা বলতে। ওই দলে শাসকদলের সাতজন এবং বিজেপির পাঁচজন বিধায়ক থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
এদিন সভায় প্রস্তাবটি পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Shovan Deb Chattapadhyay)। প্রস্তাবে কিছু সংযোজন আনেন বিজেপির সদস্যরা। বিজেপির (BJP) বঙ্কিম হাজরা, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষ প্রমুখ প্রস্তাব সমর্থন করে ভাষণ দেন। গত বছর বিধানসভা ভোটের পর এই প্রথম সরকার ও বিরোধী পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কাছে দরবার করতে দিল্লিতে যাচ্ছেন বিধায়করা।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার মাথা ফাটাল বিজেপি! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সাফাই বিরোধীদের
গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিজের ঘরে চা খেতে আমন্ত্রণ জানানোর পর সরকার এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে এই সৌজন্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যা সংসদীয় রাজনীতিতে খুবই দরকার বলে মনে করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা। ওইদিন বিধানসভায় সংবিধান রক্ষা দিবস পালিত হয়। সেই উপলক্ষে ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রী শুভেন্দুকে ছোট ভাই বলে সম্বোধন করেন। ভাষণ চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী স্পিকারের কাছে প্রস্তাব রাখেন, রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে বিধানসভা থেকে সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হোক। পরের দিন বিধানসভার লবিতে স্পিকার জানান, সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: হিঙ্গলগঞ্জে শীতবস্ত্র পৌঁছয়নি, সভাস্থলে অবস্থান ক্ষুব্ধ মমতার
বিরোধী দলনেতা শুক্রবার বলেছিলেন, শাসকদল বারবার বলে, আমরা নাকি রাজ্যের উন্নয়নের বিরোধী। এটা ঠিক নয়। আমরাও রাজ্যের উন্নয়ন চাই। সরকার পক্ষ বিরোধীদের বিধানসভায় যথাযোগ্য সম্মান দিলেই আমরা পাশে আছি। পরের দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেন, বিরোধী দলকে আগে সরকার সম্মান দিক। তারপর দিল্লি যাওয়ার কথা ভাবা যাবে। তবে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এবং সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, এতে আমার আপত্তি আছে। আমরা দিল্লি থেকে টাকা নিয়ে আসব। আর সেই টাকায় শাসকদল ফূর্তি করবে, তা হবে না।