নয়াদিল্লি: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডাকে কংগ্রেসের সদর দফতর আকবর রোড এখনও সাড়া না দেওয়ায় ২৩ জুন পাটনা মন্ত্রণাসভার সাফল্য নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা কেজরি আশাপ্রকাশ করেন যে, দিল্লির অর্ডিন্যান্স নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান কী তা হয়তো জানতে চাইবে অন্য দলগুলি। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, বৈঠকে তিনি সব নেতাদের বলবেন পুরোদস্তুর একটি রাজ্যের উপর কেন্দ্র কী করে এরকম অর্ডিন্যান্স চাপিয়ে দিতে পারে।
নাটুকে কেজরিওয়াল ওই বৈঠকে ভারতের সংবিধান সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন বলে এদিন জানান। তিনি বলেন, অন্যদের আমি বোঝাব এই অর্ডিন্যান্স কেবলমাত্র দিল্লির জন্য হয়েছে, তা নয়। আগামীদিনে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব কিংবা পশ্চিমবঙ্গেও হতে পারে। শুধু তাই নয় যৌথ তালিকাভুক্ত শিক্ষা, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রেও এরকম অর্ডিন্যান্স আনা হতে পারে। আমি আশা করি, বৈঠকে উপস্থিত অন্য দলগুলি কংগ্রেসের কাছে এই অর্ডিন্যান্স নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানতে চাইবে। তাঁর দাবি, বৈঠকের প্রথম আলোচ্যসূচিই থাকবে এই অর্ডিন্যান্স।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 |Opponents | সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত বিরোধীদের
পাটনায় লোকসভা ভোটের রণকৌশল ঠিক করতে বিরোধীদের মহাবৈঠকের আগেই কংগ্রেস-আম আদমি পার্টির সম্পর্ক নিয়ে জট পাকাচ্ছে কিছুদিন ধরেই। দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে সংসদে কংগ্রেসের সমর্থন আদায়ে রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়্গের দ্বারস্থ হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর তা নিয়েই কংগ্রেসের অভ্যন্তরে জটিলতা তৈরি হয়েছে। পঞ্জাব ও দিল্লির কংগ্রেস নেতারা দলকে এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। দুই রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাইকমান্ডের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা।
বিজেপি সরকারের দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে আপ সরকার যথেষ্ট বিপাকে রয়েছে। তারা জানে যে, অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে পাশ করানোর ব্যাপারে লোকসভায় আপ এঁটে উঠবে না। তাই রাজ্যসভায় যাতে এই আইনকে আটকে দেওয়া যায়, তার জন্য দরজা দরজায় ঘুরছেন কেজরিওয়াল। তাই কংগ্রেসেরও সমর্থন চেয়েছেন। কিন্তু, দিল্লি ও পঞ্জাবে আপের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। সেখানে স্থানীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে কেজরির দলের বিরোধিতা করে। তাই রাজ্য কংগ্রেস এই গাঁটছড়ায় আপত্তির কথা তুলে ধরেছে নেতৃত্বের কাছে। ঠিক যেমনটা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে যেখানে শক্তিশালী, তাদের জমি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব তোলার পরেই রাজ্য কংগ্রেসের তরফে প্রবল আপত্তি জানানো হয়েছিল।