কাবুল: তালিবানের বিরুদ্ধে পঞ্জশিরে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে নর্দ্যান অ্যালায়েন্স৷ যার নেতৃত্ব রয়েছেন ‘পঞ্জশিরের সিংহ’ বলে খ্যাত আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদ৷ কিন্তু আফগানিস্তানের সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, মাসুদের ছেলে তালিবানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন৷ খাল্লি-উল-রেহমান হক্কানি নামে এক তালিব যোদ্ধা এই দাবি করেছেন৷ যদিও নর্দ্যান অ্যালায়েন্সের তরফে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি৷ আহমেদ মাসুদও কোনও বিবৃতি দেননি৷ তাই তালিবানের দাবি নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে৷ কেউ কেউ এই দাবি মানতেও নারাজ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, মাসুদের রক্ত বইছে তাঁর ছেলের শরীরে৷ এঁরা সহজে অন্যের বশ্যতা স্বীকার করে না৷ কিন্তু তালিবানকে বিশ্বাস নেই৷ হতে পারে, নর্দ্যান অ্যালায়েন্স বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার এটা তাদের একটা চাল৷
কাবুল-সহ গোটা আফগানিস্তানকে কবজা করে নিলেও পঞ্জশিরে পা রাখতে পারেনি তালিবান৷ হিন্দুকুশ পর্বতমালার মাঝে অবস্থিত পঞ্জশির বরাবরই হানাদারদের আক্রমণ থেকে নিজেকে নিরাপদ রেখেছে৷ অবশ্যই সেটা সম্ভব হয়েছে ভৌগলিক অবস্থানের জন্য৷ সোভিয়েত ইউনিয়নও ওই এলাকা দখল করতে পারেনি৷ এমনকি ১৯৯৬-২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালিবানের প্রথম শাসনপর্বের সময়ও নিশ্চিন্তে ছিল পঞ্জশির৷
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান থেকে শুধুমাত্র হিন্দু ও শিখদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিসঙ্গত?
দু’দশক পর তালিবান আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরলেও এবারও তাদের পঞ্জশির তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে৷ আর ওই এলাকা থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে প্রতিরোধ৷ কাবুলের পতনের দু’দিন পর পঞ্জশিরে ওড়ে নর্দ্যান অ্যালায়েন্সের পতাকা৷ তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাইরের রাষ্ট্রগুলিকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আহমেদ মাসুদ৷ আমেরিকা-সহ শক্তিধর দেশগুলির কাছে অস্ত্র সরবরাহ করার আবেদন জানান তিনি৷ মাসুদ জানিয়েছিলেন, তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মত বাহিনী তাঁর আছে৷ পঞ্জশিরের বিভিন্ন জনজাতির মানুষ তালিবানের সঙ্গে টক্কর দিতে তৈরি৷