নেতাই গণহত্যার ((Mass Killing) মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত চণ্ডীচরণ করনের জামিনের আবেদন (Bail Application) মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। আবেদনকারীর আইনজীবী উদয়শংকর চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, চণ্ডীচরণ ৮ বছর ৭ মাস জেলে আছেন। ১১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এখনও মামলার বিচার চলছে কবে মামলার বিচার পর্ব কবে শেষ হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ফলে আবেদনকারীর ওই আবেদন মঞ্জুর করা হোক।
২০১১ সালে নেতাইয়ে গুলি চালানোর ঘটনা মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়। হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। ঘটনার সময় চন্ডীচরণ করন ছিলেন গ্রামের প্রধান। ওই ঘটনায় অন্যান্য অভিযুক্ত ফুল্লরা মন্ডল, পিন্টু রায় ও গার্গিব রায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন।
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের (Division Bench) নির্দেশ, সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে আদালত এই সিদ্ধান্তে নিচ্ছে যে বিচার প্রক্রিয়া (Judicial Procedure) কবে শেষ হবে তা এই মুহূর্তে স্থির করা সম্ভব নয়। বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে। সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির নাগরিক অধিকার আছে। বিলম্বিত বিচার প্রক্রিয়া সেই অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করছে। বিচার ব্যবস্থা কখনোই কোনও নাগরিকের স্বাধীনতা থেকে তাকে বঞ্চিত করতে পারে না। তাই আদালত আবেদনকারী চন্ডীচরণ করনের জামিন মঞ্জুর করল।
তৎকালীন শাসকের আসনে থাকা সিপিএম-এর স্থানীয় নেতাদের দাবি ছিল মাওবাদীদের (Maoist) বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নেতাই গ্রামের প্রতি বাড়ির থেকে একজন সদস্যকে বাম শিবিরে যোগদান করতে হবে। তার প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা ৭ জানুয়ারি মিছিল করেছিলেন। সেই মিছিলেই গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। এলাকার সিপিএম নেতা রথীন দন্ডপাটের বাড়ি থেকে গুলি চালোনোর অভিযোগ ওঠে. তাতে ১১ জনের মৃত্যু হয় আর ২৮ জন আহত হন। ২০১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।