কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপারিশ (School Service Commission) না করা সত্ত্বেও গ্রুপ সি পদে চাকরি পেয়েছেন। হ্যাঁ, এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। গ্রুপ সি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত এই হলফনামা শুক্রবার আদালতে পেশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নাইসা(NYSA) নামে গাজিয়াবাদের একটি বেসরকারি সংস্থাকে ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেসময়ের চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের নির্দেশেই। পর্ষদের একাধিক অফিসার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আদালতকে এর আগে জানান, কমিশনের কনফিডেনশিয়াল সেকশনের মাধ্যমে ওই সংস্থার সঙ্গে চেয়ারম্যান একাই যোগাযোগ রাখতেন। কনফিডেনশিয়াল সেকশনে আর কারও ঢোকার অনুমতি ছিল না।
কমিশন হলফনামায় জানিয়েছে, নাইসার রেকর্ডে দেখা গিয়েছে, দুজনের নাম সেখানে অবৈধভাবে যুক্ত হয়েছে। ৭৮৫ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। কমিশন সুপারিশ না করা সত্ত্বেও ৫৭ জন স্কুলে যোগ দিয়েছেন। হলফনামায় কমিশন আরও জানিয়েছে, মূল্যায়নকারী সংস্থা নাইসার সার্ভারে মোট নম্বর ছিল ৪০। কিন্তু কমিশনের সার্ভারে তা হয়ে গিয়েছে ১০। এটা কী করে সম্ভব, প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তার প্রেক্ষিতে কমিশন আদালতকে জানায়, সেই সময় কমিশনের কর্তা ব্যক্তিরা অযোগ্যদের নিয়োগ করার জন্য নানা কারসাজি করে থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন: Sexual Harassment: যৌন হেনস্তার শিকার মহিলা সাংবাদিক, অভিযোগ দায়ের মহিলা কমিশনে
এরপর বিচারপতি আগামী ৯ মার্চের মধ্যে গাজিয়াবাদে সিবিআইয়ের উদ্ধার করা ৩৪৭৮ টি ওএমআরশিট (OMR Sheet) প্রকাশ করার নির্দেশ দেন। এরপর পর্যবেক্ষণে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, এই দুর্নীতি নিয়ে সবথেকে বেশি বলতে পারবেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কারণ তিনিই সেসময় চেয়ারম্যান ছিলেন। সিবিআইয়ের উচিত এদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা।