কলকাতা: স্বাস্থ্য দফতরে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য দফতরে ১১ হাজার ৫৫১ জনকে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, গ্রাম ও শহরের স্বাস্থ্য পরিষেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে। তার জন্যই এই কর্মী নিয়োগের এই সিদ্ধান্ত। তিনি জানান, খাদ্য দফতরের বিভিন্ন প্রকল্পকে দ্রুত কার্যকর করার জন্য ৩৪২ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হবে। এব্যাপারেও এদিন মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে।
প্রশাসনিক কাজকর্মে আরও গতি আনা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করার জন্য জেলা গুলিকে ভাঙার ব্যাপারে সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে। অদূর ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি নতুন জেলা হতে পারে বলে নবান্ন সূত্রের খবর। তবে, রাজ্যে এখন পর্যাপ্ত সংখ্যক আইএএস এবং আইপিএস অফিসার না থাকায় নতুন জেলা করা যাচ্ছে না। আনুপাতিক হারে আইএএস ও আইপিএস অফিসার পাওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রকে চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে কেন্দ্রের কাছে চিঠি লেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্যে ডবলুবিসিএস অফিসার কীভাবে আরও বাড়ানো যায় তা খতিয়ে দেখতে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হলদিয়ার নয়া চরে ক্যেমিক্যাল হাব এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। শিল্পমন্ত্রী জানান, নয়াচরে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- Mahila TMC: ৫মে থেকে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জনসংযোগ যাত্রা রাজ্যজুড়ে
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় ট্র্যাক টার্মিনালগুলি নিয়ে নানা সসস্যা চলছিল। আগে এগুলি কোথাও জেলা পরিষদ কোথাও পুরসভার হাতে ছিল। তারাই টোল আদায় করত। সেই টাকা রাজ্য কোষাগারে আসত না। এখন ট্র্যাক টার্মিনালগুলি সরাসরি রাজ্যসরকার দেখভাল করবে। টোল আদায়ও করবে রাজ্য সরকার। এর জন্য চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ করা হবে। তবে কাউকে কর্মচ্যুত করা হবে না।