কলকাতা: বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে শিক্ষাবিদ বা মুখ্যমন্ত্রীকে মনোনীত করা নিয়ে নিয়ে দিন কয়েক আগেই বাকযুদ্ধে জড়িয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী এবং রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar)। এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও সংঘাত রাজ্য-রাজ্যপালের। কলকাতা, যাদবপুর-সহ রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে অভিযোগ করেছেন ধনখড়। বৃহস্পতিবার টুইটে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকাও প্রকাশ করেছেন তিনি (Jagdeep Dhankhar)।
এই তালিকায় কলকাতা, প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতীর মতো একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। আচার্যের অনুমতি বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই এই নিয়োগ হয়েছে। এই নিয়োগের আইনি বৈধতা নেই। শীঘ্রই উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’
সম্প্রতি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের রাজভবনে তলব করেছিলেন ধনকড়। কিন্তু তাঁরা কেউই হাজির হননি। রাজ্যপাল বলেন, ‘আইনের নয়, শাসকের আইনের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থায়।’ এর পালটা শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ঔপনিবেশিক প্রথা অনুযায়ী পদাধিকার বলে রাজ্যপালের বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত, না কি এই পদে বিশিষ্ট গবেষক ও শিক্ষাবিদদের মনোনীত করা উচিত, তা নিয়ে আত্মবিশ্লেষণের সময় এসেছে।’
শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘এমন আচার্যের উপস্থিতির জন্যই রাজ্যে শিক্ষায় দুরবস্থা তৈরি হচ্ছে। কোনও বিল পাঠালে তা আটকে রাখছেন। কোনও সহযোগিতা করছেন না।’ ব্রাত্য আরও বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের মতবিরোধ হতেই পারে। তবে সবকিছুই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। ব্রাত্যর কটাক্ষ, আলোচনায় যেতেই চান না এই রাজ্যপাল।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1476379416385130496?s=20