কলকাতা হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতে জমে থাকা পুরনো মামলা নিষ্পত্তির জন্য তৈরি করা হয়েছে অ্যাকশন প্ল্যান । ইতিমধ্যে সমস্ত জেলা আদালতে সেই পরিকল্পনার বিষয়ে জানানো হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর নিজস্ব ভাষনে এমনটাই জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল।
আরও পড়ুন সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে জনজীবনে, পেগাসাস বিতর্কের মাঝেই বার্তা মোদির
করোনা পরিস্থিতিতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। যার প্রভাব সারা দেশের মত পশ্চিমবঙ্গেও পড়েছে। করোনার প্রভাব পড়েছে বিচার ব্যবস্থার উপরও। এদিন ভাষণে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিচারব্যবস্থার বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেন। হাইকোর্ট মামলার তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে মামলা দায়ের হয়েছিল ৪৭ হাজারটি । ২০২০ সালে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজারটি। অন্যদিকে জেলা আদালতে মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে সমগ্র জেলা আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ ৩০ হাজারটি। কিন্তু ২০২০ সালে সমগ্র জেলা আদালতে মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে ৩ লক্ষ ৭০ হাজারটি। ২০২০ – ২১ সালে এখনো পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়েছে ২৫ হাজার। বর্তমানে তার অনেকটাই নিষ্পত্তি হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য আদালতের বিচার ব্যবস্থা কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। তাই পুরনো জমে থাকা মামলাগুলির নিষ্পত্তির জন্য একটি বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই মতোই জেলা আদালত গুলিকেও সে ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন ত্রিপুরায় ‘আক্রান্ত’ তৃণমূলের দুই মহিলা সাংসদ, মাথা ফাটল দোলার আপ্ত-সহায়কের
এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জানান, ‘আমরা চেষ্টা করেছি ভার্চুয়াল এর মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থাকে সচল রাখতে। নতুন প্রজন্মের আইনজীবী যাদের প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে যে সমস্যার সম্মুখীন হয়ে তাঁরা বিচারব্যবস্থায় অংশ নিতে পারছেন না তাঁদের জন্য ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কলকাতা হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হাইকোর্ট সেই সমস্ত আইনজীবিদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে চলেছে যাতে তাঁদের বিচারব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে কোন অসুবিধার সম্মুখীন না হয়। রবিবার স্বাধীনতা দিবসের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এই আশ্বাসের পর অনেকটাই আশাবাদী হন আইনজীবী মহল।
আরও পড়ুন স্বাধীনতার সকালে নেতাজিকেই সম্মান জানাল না প্রশাসন