কলকাতা : তৃণমূল কংগ্রেসের এক ব্যক্তি এক পদে সীলমোহর পড়তে চলেছে। চলতি মাসের ১৫ জুলাইয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সাংগঠনিক বিষয়ে আমূল পরিবর্তন করতে চলেছে। এরই মধ্যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার এ নিয়ে বৈঠক করেছেন।
তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক পরিসর বেশ কিছুটা বেড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে, শুধু ত্রিপুরা, অসম নয়, ভারতবর্ষে অন্য জায়গাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনকে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, শুধুমাত্র নির্বাচনে লড়াই করার জন্য নয়, যে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক শক্তি বাড়াবে, তারা ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে সংগঠনকে মজবুত করবে। এরই মধ্যে ত্রিপুরায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিয়ে মুখ খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুখেন্দু শেখর রায়। তাঁর মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে মানবাধিকার কমিশন ও মহিলা কমিশন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সেখানে প্রদ্যুৎ মানিক্য রাজনৈতিক দলের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়াও ত্রিপুরাতে বিজেপি এবং আইপিএফটি মধ্যে যেভাবে জোটের দূরত্ব শুরু হয়েছে তার উপর লক্ষ্য রাখছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন : তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক পদে বড়সড় পরিবর্তন
এরই মধ্যেই আইপিএফটি এক বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। আগামী ২২ সালের মধ্যে দুই থেকে তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেই রাজ্যগুলোর উপর তৃণমূল কংগ্রেস কিভাবে তাদের রাজনৈতিক শক্তি বাড়ানো যায় তার জন্য বেশকিছু ব্যবস্থা নিতে চলেছে। দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু জায়গায় পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গেছে। নির্বাচনে জেতার পর থেকেই এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে দলের অভ্যন্তরে বেশ কিছুদিন ধরে চর্চা চলছিল। তিন থেকে চারটি জেলায় জেলা সভাপতি রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী রয়েছেন এমন ব্যক্তিদের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হতে পারে। এবারের সাংগঠনিক পরিবর্তনে বেশ কিছু চমক থাকতে পারে বলে সূত্রের খবর। মূলত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কথা মাথায় রেখেই এই সাংগঠনিক পরিবর্তন হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে।