কলকাতা: বিধানসভার মুকুলের রায়ের পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটি(PAC)র চেয়ারম্যানের পদ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যার রেশ গিয়ে পৌঁছেছে কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার দ্বিতীয় শুনানি। এদিন সওয়াল জবাব্রের পরে সময় চেয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ওই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
আরও পড়ুন- “উজ্জ্বলা ২.০”-এ অন্তর্ভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা, উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে “ট্রাম কার্ড” মোদির
দ্বিতীয় শুনানির দিনে আদালতে হলফনামা জমা দেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত দাবি করেন যে ওই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার অন্দরে আলোচনা হয়েছিল। সেই সময়ে বিরোধী দলের বিধায়কেরা ওয়াক আউট করেছিলেন। এই মামলা নিয়ে বিরোধী শিবিরের আইনজীবী নরশিমা আরও সময় চান আদালতের কাছে। সেই আবেদনের ভিতিতেই পরবর্তী শুনানির কথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- আফগানিস্তানে থাকা ভারতীয় কূটনৈতিকদের ফেরাতে তৎপর দিল্লি
কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি চলছে। গত ৩০ জুলাই ছিল ওই মামলার প্রথম শুনানি। শুরু থেকেই এই জনস্বার্থ মামলার বিরোধিতা করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত৷ তিনি জানান, কাকে কোন কমিটির চেয়ারম্যান করা হবে তা স্থির করার ক্ষমতা বিধানসভার স্পিকারের আছে৷ স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট-সহ কোনও আদালতে মামলা দায়ের করা যায় না৷ ভারতীয় সংবিধানের ২১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিধানসভার কার্যকারীতার মধ্যে স্পিকার হচ্ছেন সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব সম্পন্ন ব্যক্তি৷ কোনও আদালত তাঁর কাজের বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না৷
অপরদিকে আবেদনকারীর আইনজীবী পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে বলেন, মুকুল রায় বিজেপি প্রার্থী হিসাবে বিধায়ক পদে নির্বাচিত হয়েছেন৷ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পরে তিনি পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হতে পারেন না৷ নিয়মানুযায়ী বিরোধী দল পিএসি চেয়ারম্যান পদ পায়। মুকুল রায় এখন বিজেপির বিধায়ক নন৷ তাই তাঁর পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ বাতিল করা হোক৷
আরও পড়ুন- জমে থাকা ফৌজদারি মামলার হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
এই বিষয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অভিমত হলফনামা আকারে আদালতে জানাতে চান। মঙ্গলবার শুনানির সময়ে এই বিষয়টি কলকাতা উচ্চ আদালতকে জানান রাজ্যের সলিসিটর জেনারেল কিশোর দত্ত। আদালত সেই আবেদনে মঞ্জুর করেছে।