কলকাতা: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারির (Arrest) পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সতর্ক করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar)। বৃহস্পতিবার রাতে সুকান্ত বলেন, পশ্চিমবঙ্গেও এই দৃশ্য দেখা যাবে। মুখ্যমন্ত্রী, আপনি তৈরি থাকুন। যতই কর কান্নাকাটি, মাফলারের পর হাওয়াই চটি।
তৃণমূল অবশ্য জবাব দিতে দেরি করেনি। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, এর থেকেই বোঝা যায়, এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। সুকান্তবাবু, আপনি বালুরঘাট থেকে জিতে আসুন, তারপর কথা বলবেন। কুণালের অভিযোগ, বিজেপি বুঝতে পেরেছে, ভোটে হারবে। ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। মানুষ ওদের সঙ্গে মানুষ নেই। তাই ইডি, সিবিআইকে দিয়ে বিরোধীদের শায়েস্তা করতে চাইছে। তিনি বলেন, ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়েছে। তার মধ্যে এই গ্রেফতারি থেকেই পরিষ্কার, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই সব করা হচ্ছে।
শাসকদলের আর এক নেতা শান্তনু সেন বলেন, এই রাজ্যের বিজেপি নেতারা বলে দেন, কবে কার বাড়িতে ইডি, সিবিআই যাবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের গ্রেফতারির পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এরপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হবেন। সুকান্তের প্রশ্ন, উনি জানলেন কী করে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হবেন। আসলে সবাই ভয়ে আছেন।
আরও পড়ুন: মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করল সিবিআই
এদিন রাতে দিল্লির বাড়ি থেকে ইডি গ্রেফতার করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে কর্মরত অবস্থায় গ্রেফতার করা হল। এটা নজিরবিহীন। এর আগে হেমন্ত সরেন, লালু প্রসাদ যাদব, জয়ললিতাদের গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। কেউ ইস্তফা দেওয়ার পর গ্রেফতার হয়েছেন, কেউ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ধরা পড়েছেন। ভোটের মুখে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির তীব্র প্রতিবাদ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, সীতারাম ইয়েচুরি সহ তাবড় বিরোধী নেতারা। রাহুল বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। কংগ্রেসের সমস্ত একাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে ভোটের মুখে। তারপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার। কোথায় গণতন্ত্র।
আরও খবর দেখুন