কলকাতা : সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে একগুচ্ছ নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। যার মধ্যে অন্যতম হল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ। এছাড়াও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মাঝারি শিল্প, পর্যটন শিল্প, চিকিতসা ক্ষেত্র ইত্যাদির বিষয়েও।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। উত্তর ২৪ পরগনা ও মালদা জেলায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য ৩১৭৯ টি নতুন পোস্ট তৈরি করা হবে। নতুন এবং পুরানো মিলিয়ে মোট ৩৯২৫ টি পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
মাঝারি শিল্প
মাঝারি শিল্পকে উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করার জন্য আগে ২০ একর জমি লাগত। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তা কমিয়ে ৫ একরে নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে ওয়্যারহাউজ এবং লজিস্টিক পার্ক তৈরি করার জন্য উৎসাহ বাড়বে।
অন্যদিকে, প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অন্তর্ভুক্ত করা হল কোল্ডস্টোরেজ পোল্ট্রি এবং ফিসারিকে। ফলে উৎসাহ আরও বাড়বে। এছাড়াও বর্তমানে যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক রয়েছে তারা এক্সটেনশন করতে চাইলেও আবেদন করতে পারেন রাজ্য সরকারের কাছে। তবে, সে ক্ষেত্রে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার ৩ একরের বেশি করা যাবে না।
আরও পড়ুন- দেশে মোদি বিরোধী মুখ মমতাই, তৃণমূলকে জোট বার্তা অসমের AIUDF-এর
অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে পাঁচ একর জমির জন্য আবেদন করা যাবে। ২০২০-২০২১ সালে মোট ১০০ টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। ইন্সেন্টিভের ক্ষেত্রেও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে কাজের পর ইন্সেন্টিভ দেয়া হত। এখন তা বদলে তিন ধাপে দেওয়া হবে। এই ইনস্টলমেন্ট প্রথমে ২০ শতাংশ ইন্সেন্টিভ, তারপর ৩০ শতাংশ এবং শেষে ৫০ শতাংশ দেওয়া হবে।
পর্যটন
পর্যটনের ক্ষেত্রেও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ক্যাবিনেটে। এবার থেকে সরকারের পক্ষ থেকে ট্রেনিং এবং সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। পর্যটনকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে।
ইটভাটা
বেআইনি ইটভাটা রুখতেও এদিন পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। আগে ইটভাটার রেজিস্ট্রেশন নিতে গেলে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হত। এমনকি মাইনিং অ্যাক্টিভিটির মধ্যেও ফেলা হত ইটভাটা গুলোকে। ক্যাবিনেটের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাটি কাটলে তা নন মাইনিং অ্যাক্টিভিটি মধ্যে পড়বে। বর্তমানে রাজ্যের ৫৬৩৫ টি ইটভাটা রয়েছে। এর ফলে ইটভাটার রেজিস্ট্রেশন সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন- জঙ্গিপুর বিধানসভায় বিজেপিতে ভাঙ্গন, উপনির্বাচনের আগেই শক্তি বাড়াল তৃণমূল
মেডিকেল কলেজ
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্ষেত্রেও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ চাইলে সরকারি ৩০০ বেডের যে কোনও হাসপাতাল ব্যবহার করতে পারবে নিজেদের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য। কারণ মেডিকেল কলেজের নিয়ম অনুযায়ী ৩০০ বেডের হাসপাতাল রাখতে হবে। পাঁচ বছরের জন্য এটা ব্যবহার করতে পারবে। নার্সিং কলেজের জন্য ১০০ শয্যার কোনও হাসপাতালকে ব্যবহার করতে পারবে। তবে, এক্ষেত্রে হাসপাতালের ২৫ শতাংশ জায়গা খালি রাখতে হবে সরকারের জন্য।