কলকাতা : আপনি কি পুজোয় শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করতে ব্যস্ত এখন? দোকানে বা শপিং মলে গিয়ে আপনি কী মোহিত হয়ে জামা কাপড় দেখছেন? কিংবা বন্ধুবান্ধব বা বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে কোনও পুজো মণ্ডপ ঘুরতে ব্যস্ত? তাহলে আপনার পকেটে থাকা দামি মোবাইল ফোন সাবধানে রাখুন। না হলেই পকেট সাফ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ আপনার পকেট থেকে দামী অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল হাতিয়ে নেওয়ার জন্য পুজোর বাজারে শহর ও শহরতলীতে এসে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত ‘তিন পাহাড়ি গ্যাং’। যাদের বিষয় সর্তকতা জারি করেছে লালবাজার। এই দলের চক্রদের সন্ধানে শহর জুড়ে জাল ছড়িয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দারা। সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন থানাকেও।
ঝাড়খণ্ডের তিনটি পাহাড় দিয়ে ঘেরা প্রত্যন্ত তিন পাহাড়ি গ্রাম। এই গ্রামেই থাকে কুখ্যাত মোবাইল চোরের দল। মহারাষ্ট্র গণেশ পুজো থেকে শুরু করে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো, দেশের যে কোনও জায়গার বড় উৎসবেই এরা হাজির হয়ে যায়। জমজমাট বাজার, শপিং মল, বাস স্ট্যান্ড থেকে সাধারণ মানুষের মোবাইল চুরি করতে এরা সিদ্ধহস্ত। তাই বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গোৎসবেও এরা হাজির হয়েছে শহর ও শহরতলীতে।
আরও পড়ুন : বৃষ্টিতে সারমেয়দের আশ্রয় দেওয়া ‘সুজন’ কর্মীকে কুর্নিশ লালবাজারের
কয়েকদিন আগে আমহার্স্ট স্ট্রীট থানায় এই রকম একটি মোবাইল চুরির অভিযোগ জমা পড়ে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দারা বেলঘড়িয়া থেকে দুই মোবাইল চোরকে গ্রেফতার করে আনেন। পাশাপাশি পরপর মোবাইল চুরির অভিযোগ জমা পড়তে থাকে তালতলা থানা, মুচিপাড়া থানা সহ একাধিক জায়গায়। ধৃত দুই মোবাইল চোরের নাম হল শেখর মহাতো এবং উত্তম কুমার। তাদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার তিন পাহাড়ি গ্রামে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩৪ টি দামী অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল। তাদের জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, পুজোর জন্য তিন পাহাড়ি গ্রাম থেকে আরও অনেক মোবাইল চোর এরাজ্যে ঢুকে পড়েছে। এই তথ্য জানার পর সব থানাকে সতর্ক করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।