কলকাতা: শহরের রাজপথে চোর সন্দেহে এক যুবকের বুকে সিভিক পুলিসের লাথি মারার ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে লালবাজারের অন্দরে৷ পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেও বিতর্ক সেখানেই থেমে থাকেনি৷ বরং নানা প্রশ্ন এবং অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে৷ কর্তব্যে গাফিলতির মত গুরুতর অভিযোগ উঠছে ট্র্যাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে৷ তার পরই সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের সমস্ত অফিসারকে ডেকে পাঠান পুলিস কমিশনার৷
আরও পড়ুন: কলকাতার রাস্তায় ফ্লয়েডের স্মৃতি উস্কে বুকে লাথি, চাকরি গেল সিভিক পুলিসের
রবিবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্র সদনের এক্সাইড মোড়ে বুট পরা পায়ে এক যুবককে লাথি মারতে দেখা যায় সিভিক পুলিসকে৷ সেই ঘটনার ভিডিও এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ তার পর থেকেই সিভিক পুলিসের অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা শুরু হয়েছে৷ সমালোচকদের সমালোচনা থেকে রেহাই পায়নি কলকাতা পুলিশও৷ ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসাররা৷ কিন্তু ঘটনার মীমাংসায় নিজেরা না গিয়ে সিভিক পুলিস তন্ময় বিশ্বাসকে সেখানে পাঠান৷ ওই সিভিক পুলিস গিয়েই চোর সন্দেহে অভিযুক্ত যুবককে ফুটপাতে ফেলে লাথি মারতে শুরু করেন৷ অভিযোগ, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসাররা সিভিক পুলিসকে বাধা দেননি৷ কেন তাঁরা বাধা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি সম্ভবত সেই ব্যাখ্যা চাইতে আজ সোমবার ট্র্যাফিক কর্তাদের ডাকেন সৌমেন মিত্র৷
আরও পড়ুন: পেট্রোপণ্যে ভ্যাট কমানোর দাবিতে বিজেপির মিছিল, গোলমালের আশঙ্কা
এর পাশাপাশি আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে৷ এমন অমানবিক কাণ্ড ঘটিয়ে অভিযুক্ত গ্রিন পুলিসকে কেন গ্রেফতার করা হল না? লালবাজারের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, তন্ময় বিশ্বাসকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে৷ কিন্তু তন্ময়ের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা যথেষ্ট নয় বলে অনেকে মনে করছেন৷ তাঁকে গ্রেফতারের দাবি উঠছে সোশাল মিডিয়ায়৷