কলকাতা: ভালোবাসার টানে ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও হুগলিতে (Hoogly) সংসার পেতে বসা পাকিস্তানি স্বামীকে মুক্তির নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের। বেআইনিভাবে এদেশে বসবাসকারী মানোয়ারা বিবির স্বামী তিন বছরের সাজা খেটে ফেলেছে। পাকিস্তান তাকে ফেরত নিতে নারাজ। ফলে এখানেই সে কারাবন্দি।
সে আজমল কাসব নয়। যার মানবাধিকার রক্ষায় অজস্র মানবাধিকার সংগঠন সক্রিয় হয়েছিল। কিন্তু এই ব্যক্তি সাড়া জাগানো কেউ নয়। তাই এদের কথা সংবাদমাধ্যমে আসে না। অথচ এদেরও সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। যে সম্মান না থাকার অর্থ, পশুর মত বেঁচে থাকা। অভিমত বিচারপতির।
আরও পড়ুন: মিষ্টির দোকানে দইবড়া খেয়ে অসুস্থ প্রায় ৫০ জন
উপযুক্ত ভিসা নিয়ে ২০০১ সালে ভারতে পদার্পণ। হুগলির প্রত্যন্ত গ্রামে বিয়ে করে সংসারী বর্তমানে ৪৭ বছরের কারাবন্দি। তিহার জেলে যার বন্দিত্বের মেয়াদ শেষ ২০২২-এ। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের এক সংশোধনাগারের বাসিন্দা।
নিজের দেশ ফেরত নিতে চাইলে এমন বন্দীদের সংশোধনাগারের আলাদা জায়গায় রাখা হয়। ভারতে থাকতে চাইলে তাকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও এমন ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া যায় না। জানায় কেন্দ্রীয় সরকার।
তাহলে একে ফাঁসি দেওয়া হোক। সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। মানুষ হওয়া সত্বেও তার মানবাধিকার নেই! এদের জন্য কেন কোন নিয়ম বা আইন থাকবে না? নির্দিষ্ট কোনও বিধিব্যবস্থা থাকা না সত্বেও এভাবে কাউকে আটকে রাখা যায় না। প্রয়োজনে আইন তৈরি করা হোক। সে আইন পরীক্ষিত হোক সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু একজন জীবিত ব্যক্তির মানবাধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। অভিমত আদালতের।
অবিলম্বে আবেদনকারীকে মুক্তি দিতে হবে। প্রশাসনিক নির্দেশ ছাড়া আবেদনকারী হুগলি জেলা ছেড়ে যেতে পারবেন না। নিকটবর্তী থানায় মাসে একবার হাজিরা দিতে হবে। নির্দেশ আদালতের।
আরও খবর দেখুন