কলকাতা: হাই প্রোফাইল নন্দীগ্রাম মামলার (Nandigram Case) শুনানি বুধবার। ২০২১ বিধানসভা ভোটের নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandapadhaya)। সেই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে। আগে মামলা ছিল বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। স্থানান্তরিত হয়ে তা এবার হবে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে।
আরও পড়ুন: রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া বাগবাজারে
২রা জুন বিধানসভা ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandapadhaya) জিতে গিয়েছেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, গননা বাকি রয়েছে। এরপর শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। কিন্তু প্রতিবাদ জানানো হয় তৃণমূলের তরফে। তাঁদের দাবি, বিচারপতি চন্দকে বিজেপির বহু সভায় দেখা গেছে। মামলায় পক্ষপাতিত্ব করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী শ্রমিককে আর্থিক সাহায্য শ্রমিক সংগঠনের
গত ২৪ জুন হাইকোর্টে বিচারপতি চন্দ’র বেঞ্চে নন্দীগ্রাম-মামলা অন্য এজলাসে স্থানান্তর করার আবেদন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে ভার্চুয়ালি সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি৷ ওইদিনের শুনানিপর্বে এজলাসে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ গত বুধবার ৭ জুলাই হাইকোর্টে বিচারপতি চন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাস-বদলের আবেদনের রায় ঘোষণা করে জানান, তিনি নন্দীগ্রাম- মামলা থেকে সরে যাচ্ছেন৷ তাঁর এজলাসে এই মামলার শুনানি হবে না৷ ওই মামলা ফেরত পাঠানো হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে৷ রায় ঘোষণার আগে পর্যবেক্ষণে এ দিন বিচারপতি জানিয়েছিলেন, “সংশ্লিষ্ট মামলায় আমি দু’তরফের কাউকেই ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তা সত্ত্বেও আদালতের ভিতরে এবং বাইরে আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে প্রতিবাদ সংগঠিত করা হয়েছে৷ এই ধরনের কাজ সঠিক নয়।আইনজীবী হিসাবে যে কোনও আইনজীবী যে কোনও মামলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। সেটা তাঁর পেশাগত বিষয়৷” পাশাপাশি বিচারপতি বলেছেন, “আমার বিচারপতি পদ স্থায়ীকরণের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শপথগ্রহণের শর্ত ভঙ্গ করেছেন৷”
আরও পড়ুন: নিখোঁজ ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার
এরপরই মামলা স্থানান্তরিত করা হয় বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে। এই এজলাসে স্থানান্তরিত হওয়ার পর প্রথম শুনানি আজ, বুধবার। এই মামলার শুনানি কী হয় সেদিকেই তাকিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল।